Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে কয়েক ধাপে মুক্তি পেলো ৩১ বন্দি
চাঁদপুর জেলা কারাগার
জেলা কারাগার ফাইল ছবি

চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে কয়েক ধাপে মুক্তি পেলো ৩১ বন্দি

বৈশ্বিক মহামারী করোনায় সাধারণ ক্ষমায় শনিবার পর্যন্ত ৩১জন আসামি চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অপেক্ষায় আছে অন্তত ১০৯ বন্দি।

চাঁদপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন ও আইজি (প্রিজন )এর পত্রের আলোকে ৩১জন আসামীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

চাঁদপুর জেলা কারাগারের জেলা সুপার মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া ইনকিলাব কে জানান, করোনার কারণে সাধারণ ক্ষমায় চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে শনিবার পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৩১জন আসামীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে । তিনি জানান,চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মোট ১৪০জন আসামীকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল । তবে পর্যায়ক্রমে আরো মুক্তি দেওয়া হবে ।

বৈশ্বিক মহামারী করোনায় সাধারণ ক্ষমায় ৯ মে শনিবার পর্যন্ত ৩১জন আসামি চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন । বিষয়টি জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন ।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন ও আইজি (প্রিজন )এর পত্রের আলোকে ৩১জন আসামীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ।

চাঁদপুর জেলা কারাগারের জেলা সুপার মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া জানান, করোনার কারণে সাধারণ ক্ষমায় চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে শনিবার পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৩১জন আসামীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে । তিনি জানান,চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মোট ১৪০জন আসামীকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল । তবে পর্যায়ক্রমে আরো মুক্তি দেওয়া হবে ।

করোনা সংক্রমণ এড়াতে চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সাজাপ্রাপ্ত ১৪০ জন বন্দীর নাম ঢাকা কারা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই তালিকা পাঠানো হয়। কারা অধিদফতর থেকে এই তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে অনুমতি সাপেক্ষে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে।

প্রায় দেড় হাজার আসামি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চাঁদপুর জেলা কারাগারে পুরুষ বন্দীদের জন্য আট কক্ষ বিশিষ্ট দুইটি চারতলা ভবন এবং চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি দুইতলা ভবন রয়েছে।

অন্যদিকে নারী বন্দীদের জন্য চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি দুইতলা ভবন রয়েছে। যার মধ্যে দুইটি সাধারণ ওয়ার্ড ও ছয়টি কনডেম সেল রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন বন্দীকে রাখা যায়। সবমিলিয়ে ফাঁসির আসামিদের জন্য এখানে ১০টি কনডেম সেল রয়েছে। তবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত ও আন্ডার ট্রায়ালে মোট বন্দী রয়েছে ৭৪৩ জন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত ২২৯ জন, বিচারাধীন ৫১১ জন এবং ফাঁসির আসামি তিনজন।

করোনা প্রতিরোধে কারাগারের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেল সুপার মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কারাগারে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিদিনই নতুন বন্দীদের কারাগারে প্রবেশের সময় হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে হাতমুখ ধোয়ানো হয়। পাশাপাশি পরীক্ষা করা হয় শরীরের তাপমাত্রা। প্রয়োজনে নতুন বন্দীদের ১৪ দিন আলাদা ওয়ার্ডে রাখি। প্রতিদিন সকাল বিকেল দুইবার পুরো কারাগার এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হয়। এছাড়া কারগারে দুইটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আরো পড়ুন- চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তির অপেক্ষায় ১৪০ কারাবন্দী

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ১০ মে ২০২০