জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর তিন দিন পর গতকাল রবিবার প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে। কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন জানান, আদালতের নির্দেশে গতকাল বিকেলে খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেওয়া হয়। কারা সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়াকে টেলিভিশন দিতে চাইলেও তিনি সেটি নিতে আগ্রহ দেখাননি। তবে তিনি দুটি বাংলা পত্রিকা পাচ্ছেন।
খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাঁকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে দুপুর দেড়টায় সরকার সমর্থক আইনজীবীরা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে তাঁরা অভিমত দিয়েছেন, কোনো মামলায় কারো পাঁচ বছর সাজা হলে আদালত সহজেই তাঁকে জামিন দিয়ে থাকেন। এ কারণেই খালেদা জিয়া সহজেই জামিন পাবেন।
খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই তাঁকে ডিভিশন দেওয়ার উপায় খুঁজতে বিধি-বিধান ঘাঁটছিল কারা কর্তৃপক্ষ। কারা কর্মকর্তারা বলছেন, কারাবিধি অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ডিভিশন দেওয়ার সরাসরি বিধান নেই। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ডিভিশন দিতে পারে।
খালেদা জিয়াকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা (ডিভিশন) দেওয়ার বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
গতকাল সকালে খালেদা জিয়ার ডিভিশন চেয়ে ওই আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। আবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া তিন দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। চারবার তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি একটি দলের চেয়ারপারসন, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী। তিনি কারাবিধি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পাওয়ার হকদার। দুপুরে ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া শুনানি করেন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁকে ডিভিশন না দিয়ে সাধারণ কয়েদিদের মতো রাখা হয়েছে। আমরা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন নিয়ে গেলে তারা ওই আবেদন নেয়নি। পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার, কারা অধিদপ্তরে ঘোরাঘুরি করেও কোথায় আবেদন জমা দিতে পারিনি।’ ওই সময় আদালতে উপস্থিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষের তো ডিভিশন দেওয়ার এখতিয়ার নেই। সেখানে ঘোরাঘুরি করলে হবে কেন।’ তখন খালেদার আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ‘স্যার, আপনি সরাসরি নির্দেশ দেন, যাতে ডিভিশন দেওয়া হয়।’ পরে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সিনিয়র জেল সুপারের কক্ষে রাখা হচ্ছিল। গত শনিবার বিকেলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মহিলা ওয়ার্ডের দোতলায়। সেখানে একটি কক্ষে তাঁকে সিঙ্গেল খাট দেওয়া হয়েছে। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তিনি দিনে দুইবার খাবার গ্রহণ করছেন—একবার দুপুরে, আরেকবার রাতে।
এক কারা কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়া দুপুরের দিকে ঘুম থেকে ওঠেন। এরপর গোসল করে দুপুরের খাবার খান। রাতের খাবার খেয়ে রাত ১টার দিকে ঘুমাতে যান। এর মধ্যে তিনি নামাজ আদায় করেন এবং পত্রিকা ও বই পড়ে সময় কাটান।
আরেক কারা কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়ার এক হাত ও এক পায়ে সমস্যা থাকায় তিনি কারগারে বেশির ভাগ সময়ই শুয়ে থাকছেন। কারা চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা দিচ্ছেন। খালেদা জিয়া কয়েদির পোশাক পরছেন কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কারাবিধিতে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে কয়েদির পোশাক পরাতে হয় বলে তাঁকেও আইন মানার জন্য কিছু সময়ের জন্য পরানো হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলে তাঁর প্রতি সম্মান দেখিয়ে সব সময় কয়েদির পোশাক পরিয়ে রাখা হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন গতকাল বলেন, ‘জেল কোড অনুযায়ী একজন সাধারণ বন্দির কয়েদির পোশাকই পরার কথা।’
পরে বিষয়টি নিয়ে একাধিক কারা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, খালেদা জিয়া ডিভিশন পেলে তিনি প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা পাবেন। এ কারণে তাঁকে কয়েদির পোশাক না পরালেও আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না। কারাগারে বন্দিদের বিষয় দেখার জন্য জেল সুপারকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে।
সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির কারগারে কাজ করার যে বিধান রয়েছে, সে বিষয়ে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে ঊর্ধ্বতন এক কারা কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি অসুস্থ থাকেন বা কোনো কাজ করার মতো কর্মক্ষম নন বলে চিকিৎসক পরামর্শ দেন সে ক্ষেত্রে তাঁকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অন্যথায় সশ্রম দণ্ডিত বন্দিকে কাজ করতেই হবে। বৃদ্ধ বন্দিদের ক্ষেত্রে আমরা ফুল বাগানে কাজের সুযোগ দিয়ে থাকি।’
এক কারা কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়াকে মহিলা ওয়ার্ডের ডে কেয়ার সেন্টারের যে কক্ষে রাখা হয়েছে সেখানে কোনো টেলিভিশন নেই। কারা কর্তৃপক্ষ একটি টেলিভিশন তাঁকে দিতে চেয়েছিল; কিন্তু খালেদা জিয়া তখন জানতে চান ডিশ সংযোগ দেওয়া হবে কি না। এক কারা কর্মকর্তা তখন বলেন, ডিশ লাইন দেওয়ার বিধান না থাকায় দেওয়া সম্ভব হবে না। তখন খালেদা জিয়া বলেন, তাহলে টেলিভিশনের দরকার নেই। এরপর তাঁকে আর টেলিভিশন দেওয়া হয়নি। তবে কারা কর্তৃপক্ষ টেলিভিশন রেখেছে। খালেদা জিয়া চাইলেই সেটি দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেন : গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আদালতের রায় অনুযায়ী খালেদা জিয়ার থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আদালতের রায়ে যেভাবে বলা আছে সেভাবেই করা হচ্ছে এবং করা হবে।
খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দীন রোডের পরিত্যক্ত পুরনো কারাগারে কেন একমাত্র বন্দি হিসেবে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুইবারের প্রধানমন্ত্রী। উনি সাবেক এমপি। একটি বড় দলের চেয়ারপারসন। ওনার এ সমস্ত সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করেই প্রথম দিন থেকেই তাঁকে সে রকম মানসম্পন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে।’
কারা মহাপরিদর্শক যা বললেন : ডিভিশন দেওয়ার আগে গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেছিলেন, ‘জেল কোড অনুযায়ী সাধারণ বন্দি হিসেবে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সাধারণ বন্দি হিসেবেই তাঁকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। তবে স্বজনরা শুধু শুকনো খাবার ও ফলমূল সঙ্গে আনলে সেগুলো অ্যালাউ করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ পেলে তাঁকে ডিভিশন বা অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
জাবেদা নকল মেলেনি : রায়ের জাবেদা নকল বা সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়া না যাওয়ায় এখনো আপিল প্রস্তুত করা যায়নি। রায়ের দিনই জাবেদা নকল চেয়ে আবেদন করা হয়। খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, গতকালও তাঁরা রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাননি। এ কারণে আপিল করা যায়নি। আজও সোমবারও আপিল করা যাবে না।
গতকাল খালেদা জিয়াকে প্রথম শ্রেণির কয়েদিও মর্যাদা দিতে আবেদনের ওপর শুনানির সময় আইনজীবীরা জাবেদা নকল যাতে তাড়াতাড়ি পেতে পারেন সে জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন; কিন্তু আদালত কিছুই বলেননি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রায় হয়েছে ৬৩২ পৃষ্ঠার। জাবেদা নকল করতে হলে দেড় হাজার পৃষ্ঠার ওপরে হবে। কাজেই নকল প্রস্তুত করতে কিছুটা সময় লাগবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের : খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, নিতাই রায় চৌধুরী, সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, তৈমূর আলম খন্দকার, আবেদ রাজা, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আসিফা আশরাফী পাপিয়া, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। পরে একটি মিছিল সমিতি ভবন প্রদক্ষিণ করে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সংবাদ সম্মেলন : গতকাল দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, সাহারা খাতুন, সদস্যসচিব ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, আবদুল মতিন খসরু এমপি, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, সমিতির বর্তমান সহসভাপতি মো. অজিউল্লাহ প্রমুখ আইনজীবী।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দুই বছরের বেশি যদি কারো সাজা হয় তাহলে তিনি কারামুক্তি পাওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচন করতে পারেন না। তবে খালেদা জিয়া সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন। জামিন চাইতে পারবেন। তাঁর আপিল যদি গৃহীত হয় এবং তিনি জামিন পেলে সাজা স্থগিতের আবেদন করতে পারেন। তিনি বলেন, কেউ যদি আপিল করে আর ওই আপিল চলাবস্থায় একেবারে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সুতরাং নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করা ঠিক না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে আপিলে যদি সাজা টিকে যায়, আর তিনি যদি সংসদ সদস্য হন তবে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হবে। তাঁর আসনে উপনির্বাচন হবে।
ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে তাঁর আইনজীবীরা এবং বিএনপি নেতারা অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এটা স্পষ্ট করতেই এ সংবাদ সম্মেলন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ‘সুবিচার পায়নি’ বলে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে তা খুবই মারাত্মক আদালত অবমাননা।
আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়া মূল আসামি। আদালত তাঁকে পাঁচ বছর সাজা দিয়েছেন। আর সহযোগী আসামিদের ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। আদালত খালেদা জিয়াকে সুবিধা দিয়েছেন। এ কারণে কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে সব সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।
ফজলে নূর তাপস বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে। ডিভিশন নিয়ে বিএনপি নেতা ও আইনজীবীরা মিথ্যাচার করছেন। ধূম্রজাল সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। তিনি বলেন, এতিমদের জন্য আনা টাকা এতিমদের তো দেননি। গরিবদের জন্যও খরচ করা হয়নি। প্রভাবশালীরা এ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বলেন, একটি মহল রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু বলেন, আদালত সাজা দিয়েছেন। এখানে সরকারের কিছুই করার নেই। তিনি বলেন, সাধারণত কোনো মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হলে হাইকোর্ট জামিন দিয়ে থাকেন। তাই খালেদা জিয়াও জামিন পাবেন।
অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, বিদ্যমান আইনে সাজাপ্রাপ্ত বা হাজতি আসামি তিনি যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন তিনি কারাগারে কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন। কারাবিধি অনুযায়ী বেগম জিয়াকে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
(কালের কন্ঠ)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০: ৪০ এ.এম, ১২ ফেব্রুয়ারি২০১৮,সোমবার ।
এএস.