১৬ ঘণ্টা ধরে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছেন ১৪ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দ্বিতীয় বারের মতো দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন তারা। তাদের সঙ্গে আরও ১৬০ জন আফগান নারী শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনে পড়াশোনা করছেন।
কাবুল বিমানবন্দর থেকে আফগান ওয়্যারলেসের প্রকৌশলী রাজীব বিন ইসলাম বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টার দিকে জানান, গত ১৬ ঘণ্টা ধরে তারা অপেক্ষা করছেন। এখনও বিমানবন্দরে ঢুকতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘তবে ভেতর থেকে আমাদের জানিয়েছে যে আমরা ঢুকতে পারবো। গতকালও আমরা চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমাদের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমি যে মোবাইল ফোন কোম্পানিতে কাজ করি, সেখানে কর্মরত মোট ছয়জন, ব্র্যাকের তিনজন এবং অন্য আরেকটি কোম্পানির পাঁচজন; মোট ১৪ জন আমরা একসঙ্গে রয়েছি।
কোন এয়ারলাইন্সে ফিরতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতিসংঘ বিশেষ ফ্লাইটে আমরা ফেরত আসবো। কিন্তু ভেতরে না ঢোকা পর্যন্ত বলতে পারবো না কোন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ফিরবো।
এর আগে গতকাল বুধবার (২৬ আগস্ট) রাজীব জানিয়েছিলেন, তারা বিমানবন্দরের পথে যাওয়ার পথে থাকাকালে জানতে পারেন ইউক্রেনের একটি উড়োজাহাজ ছিনতাই হয়েছে। পরে তাদের জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার জনিত কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
তবে ১৪ জন ১৬ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করলেও বিমানবন্দরে এসে উপস্থিত হয়েছেন আরও এক বাংলাদেশি। মাজার-ই-শরীফ এলাকা থেকে আবুল খায়ের নামের এই বাংলাদেশি বিমানবন্দরে এসেছেন। সেখানে তিনি তার্কিশ একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন।
আফগান ওয়্যারলেসের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আমরা ১৪ জন একসঙ্গে লম্বা সময় অপেক্ষা করছিলাম। আবুল খায়ের শেষ মুহূর্তে এসে যোগ দিয়েছেন। তার সঙ্গে আমাদের দেখা হয় বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখে। সব মিলিয়ে আমরা এখন ১৫ জন বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায়।
এখনও তাদের ফ্লাইট চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানালেন কামরুজ্জামান।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানরা কাবুল দখল করে নেওয়ার পরে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা আফগানিস্তান ত্যাগ করছেন। এর আগে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছিলেন, ওই দেশে (আফগানিস্তান) এখন পর্যন্ত ২৭ বাংলাদেশির অবস্থান নিশ্চিত করা গেছে। তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বচ্চো চেষ্টা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।