কাবুলে পবিত্র মসজিদুল আকসার আদলে মসজিদ উদ্বোধন

পবিত্র মসজিদুল আকসার কুব্বাতুস সাখরা বা ডোম অব দ্য রকের আকৃতিতে আফগানিস্তানে একটি মসজিদ তৈরি করা হয়েছে ।শুক্রবার ২৭ অক্টোবর রাজধানী কাবুলের ওয়াজির আকবর খান পাহাড়ে অবস্থিত মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। কাবুলে পবিত্র মসজিদুল আকসার ডোম অব দ্য রকের আকৃতিতে মসজিদ উদ্বোধনে অংশ নেন আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা।

জানা যায়, তুরস্কভিত্তিক ইসলামী দাতব্য সংস্থা আইডিডিইফের অর্থায়নে ও আফগান সরকারের তত্ত্বাবধানে তা নির্মিত হয়।

তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর ও তুরস্কের জনপ্রিয় আধ্যাত্মিক নেতা শেখ মাহমুদ আফেন্দির নামে মসজিদটির নাম দেওয়া হয়। এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয়ে ২৭০ বর্গমিটার আয়তনের এ মসজিদে একসঙ্গে ৩৫০ জন নামাজ পড়তে পারবেন।

কাবুলে পবিত্র মসজিদুল আকসার ডোম অব দ্য রকের আকৃতিতে মসজিদ উদ্বোধনকাবুলে পবিত্র মসজিদুল আকসার ডোম অব দ্য রকের আকৃতিতে মসজিদ উদ্বোধনের পর দর্শনার্থীর ভিড় তৈরি হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আফগান সরকারের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হক্কানি।

তিনি বলেন,‘জেরুজালেমের ডোম অব দ্য রকের প্রতিরূপ হিসেবে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। ফিলিস্তিন ও পবিত্র আল-আকসার প্রতি মুসলিমদের,বিশেষত আফগানদের সীমাহীন ভালোবাসা প্রদর্শন করাই এর প্রধান লক্ষ্য।’এ সময় তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ ও নিপীড়নের নিন্দা জানান এবং আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেন। কাবুলে পবিত্র মসজিদুল আকসার ডোম অব দ্য রকের আকৃতিতে মসজিদ উদ্বোধন। কাবুলে পবিত্র মসজিদুল আকসার ডোম অব দ্য রকের আকৃতিতে মসজিদ উদ্বোধনের পর দর্শনার্থীর ভিড় তৈরি হয়।

আইডিডিইএফের পরিচালক মেহমেদ তুরান বলেন,‘মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম, মদিনার পবিত্র মসজিদ-ই-নববী এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র আল-আকসার প্রতিকৃতিতে এ মসজিদটি এমন সময়ে উদ্বোধন করা হয়েছে,যখন ফিলিস্তিনিরা একটি কঠিন সময় পার করছে এবং নিজেদের ভূমি পুনরুদ্ধারে অকাতরে প্রাণ হারাচ্ছে। মসজিদটির উদ্বোধন পবিত্র আল-আকসার মুক্তির পথ দেখাবে বলে আমরা আশা করি। এ ধরনের মসজিদ ও এতিমখানা এ দেশে আমরা আরো নির্মাণ করতে চাই।’

মসজিদটি দেখতে আসা মোহাম্মদ আরিফ ফারমুলি বলেন,‘পবিত্র আল-আকসার মতো মসজিদ পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।

এটি সব মুসলিমের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত স্থান। আমি মনে করি, সব মুসলিম দেশে এ ধরনের মসজিদ থাকা উচিত। মসজিদটি ফিলিস্তিনি জনগণ ও আল-আকসার প্রতি আমাদের ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের সবার মনে এই ভালোবাসা সব সময় জাগ্রত রাখা দরকার।’

উল্লেখ্য, আইডিডিইএফ তুরস্কভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা। সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী ইসলামী শিক্ষার মানোন্নয়নে ৩৫টি দেশে মানবিক সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে স্থানীয় শিক্ষিতদের সমর্থন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়তা, মানবিক ত্রাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহযোগিতা করা হয়।

পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। কোরআন ও হাদিসের ভাষ্যমতে,মহানবী মুহাম্মদ (সা.) মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে এ স্থানে এসেছিলেন এবং এখান থেকে উর্ধ্বাকাশে ভ্রমণে গিয়েছিলেন।

ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছেও তা পবিত্র স্থান হিসেবে স্বীকৃত। তবে কয়েক দশক ধরে স্থানটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে দখলদার ইসরায়েল। সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদুল আকসায় মুসল্লিদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।

নভেম্বর ১,২০২৩
এজি

Share