চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের চরা দুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পশ্চিম বিশ কাঁটাখালী এলাকায় কাতার চ্যারিটির নামে মসজিদ নির্মানে ৪ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পশ্চিম বিশ কাঁটাখালি জিন্নত আলী ভূঁইয়া বাড়িতে কাতার চ্যারিটির কতিপয় দালালের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে মসজিদের কাজ শুরু করে। অত:পর কাজ নিন্ম মানের ও সিডিউল বিহিন করায় মসজিদ কমিটির লোকজন কথা কাটাকাটি করায় সংস্থাটি মসজিদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির নজরুল ইসলাম, আঃ ছামাদ, বিল্লাল হোসেনসহ অনেকেই জানান, আমাদের সাথে কাতার চ্যারিটির ঠিকাদার মোঃ মাহাবুব সেলিম নামের এক ব্যাক্তির মাধ্যমে সাড়ে ১৬ শত স্কয়ার ফিট পরিমাপের একটি মসজিদ নির্মাণ করার সর্তে অগ্রিম ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। টাকা লেন-দেনের সময় বলেছে ডিজাইন ও সিডিউল দিয়ে কাজ করা হবে। কিন্তু কাজ শুরু করে মাটি লেভেল উঠলেও কোন ধরণের কাগজপত্র না দিয়েই নিন্ম মানের সামগ্রি দিয়ে কাজ করছে। এতে আমরা আপত্তি করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
তারা আরোও জানান, কাজ করার সময় আমাদের দিয়ে পুরুনো মসজিদটি ভাঙ্গা ও পাশের গাছ কর্তণ ও বালু ভরাট করার জন্য ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত নিয়েছে। আমাদের পুরোন মসজিদ মোটামুটি ভালোই ছিল। আরো ভালো মসজিদ পাওয়ার আশায় এখন আমরা বেকায়দায় পড়েছি। যদি মসজিদ নির্মাণ না করা হয় তা হলে আমাদের মুসল্লিরা কোথায় নামাজ পড়বে।
তাছাড়া আমাদের দেওয়া সাড়ে ৪ লাখ টাকার উপায় কি হবে। সংস্থাটি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণ করে থাকে। একই কায়দায় এ উপজেলায় বাড়তি টাকা অগ্রিম নিয়ে আরো বেশ ক‘টি মসজিদ নির্মাণ করার অভিযোগ রয়েছে সংস্থাটির লোকজনের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার মোঃ মাহাবুবুর রহমান ৪ লাখ টাকা নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কাজ নিয়ে স্থানীয়রা আপত্তি করায় আপাদত কাজ বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া আমাদের কাতার চ্যারিটির প্রধান কার্য়ালয় থেকে আমাকে কোন কথা না বলতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাতার চ্যারিটির প্রকল্প ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিনের জানান, কাজে অনিয়ম হলে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেবো। কারণ আমাদের সু-নাম অক্ষুন্ন রাখতে হবে। তিনি প্রকল্পটি পরিদর্শণে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। তবে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে সম্পষ্ট জবাব না দিয়ে ঠিকাদারকে বাতিল করা হবে বলে জানান।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৬ আগস্ট ২০২১