ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে কর্মহীনদের পাশে কাতারের সফল ব্যবসায়ী জালাল

চাঁদপুর জেলার কৃতি সন্তান কাতারের বিশিষ্ট সফল বাংলাদেশী ব্যবসায়ী কাতারস্থ চাঁদপুর সমিতির প্রধান উপদেষ্টা শিল্পপতি জালাল আহমেদ সিআইপি করোনা ভাইরাসের কর্মহীন ও গোপনে মানুষের পাশে দাড়িয়ে দেশ-বিদেশে যথেষ্ট প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

নিজ অর্থে তার জন্মস্থান চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে হাজারের অধিক কর্মহীন চাকুরীচ্যুত মানুষের মাঝে কোন রকমের প্রচার বিহীন নিরবে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করে যাচ্ছেন ।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের শিল্পপতি গোল্ডেন মার্বেল কোম্পানীর মালিক চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালি গ্রামের মুরহুম আঃ রশিদ মিজির পুত্র জালাল আহমেদ।

বৈশ্বিক মহারারি Covid 19 করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব নিস্তব্ধ। এর ব্যতিক্রম নয় মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ মরুর দেশ কাতার। যার ফলে অনেকেই চাকরি হারিয়ে কর্মহীন হয়ে অর্থ সংকটে ভূগছে প্রবাসীরা।

এমতাবস্থায় নিজ ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মহীন অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে তন্মধ্যে বেশীরভাগ চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ প্রবাসীর মধ্যে নিরবে গভীর রাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে বাসায় বাসায় গিয়ে এসব সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন ।

তাছাড়াও তিনি বাংলাদেশীদের জন্য কাতারে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে বিভিন্ন সামাজিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন সহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকা ব্যক্তিরা আখ্য করেছেন।

কাতার সফল ব্যবসায়ী বিশিষ্ট সমাজসেবক দানবীর জালাল আহমেদ বলেন, চলমান করোনা মহামারী সংকটে প্রবাসীদের মাঝে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি, এই দুঃসময়ে দেশে এবং প্রবাসীদের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অপরদিকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত ফরিদগঞ্জবাসীর পাশে তার বোন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগমের মাধ্যমে তিনি পৌর এলাকাসহ পুরো উপজেলায় প্রায় ১৬ ইউনিয়নে বিশেষ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম জানান, তার ভাই জালাল আহমেদ সর্বদাই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার সামগ্রী দান করেন অসহায় মানুষকে। স্বাবলম্বী করতে দরিদ্রদের রিকশা ও নারীদের সেলাই মেশিন কিনে দেয়ার সাথে সাথে ভূমিহীনদের ঘরে করে দিচ্ছেন সাধ্যমত।

এ বছর করোনা ভাইরাসে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তখন তার ভাই আবারো দু’হাত খুলে সহযোগিতা শুরু করেছেন। কার্ডের মাধ্যমে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করে চলেছেন। যাতে অন্তত একটি পরিবার কিছু দিন নিশ্চিন্তে থাকতে পারে।

এই লক্ষ্যে পুরো উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। প্রয়োজন হলে সামনের দিনগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

তিনি আরো জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ঘরে ঘরে যাওয়া সমস্যা। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে না। তাই প্রতিটি এলাকায়ই কার্ড বিতরণ করেছি। এই কার্ড নিয়ে ওই এলাকার নির্ধারিত কয়েকটি দোকানে গিয়ে কার্ডধারীরা মালামাল সংগ্রহ করছে।

প্রতিবেদক:মো.ইসমাঈল,২ মে ২০২০

Share