বাংলাদেশ অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল কাঁঠাল। শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর এই ফলটি। জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত ফলটি দেশের সব স্থানেই কম-বেশি পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক সুস্বাদু, রসালো, পুষ্টিকর এই ফলটির নানাবিধ গুণাগুণ।
-মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং শিশুর বেড়ে উঠার জন্য ভিটামিন এ ও সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ইত্যাদি সবই আছে এই ফলে। গর্ভবতীদের জন্যও কাঁঠাল উপকারী।
কাঁঠাল খেলে গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। স্তন্যদানকারী মা পরিমাণ মত পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বাড়ে। পাঁচ মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত কাঁঠালের রস খাওয়ালে বাচ্চার ক্ষুধা নিবারণ হয়। পূরণ হয় তার স্বাভাবিক পুষ্টির চাহিদাও।
-কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি ও এ থাকায় চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী। ভিটামিন এ চোখের পুষ্টি জোগায়, অন্ধত্বজনিত সমস্যা দূর করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ফলে ক্ষতিকারক রোগ জীবাণু প্রবেশ করতে পারে না। ক্ষত ও দেহের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকায় ভিটামিন সি। প্রখর রোদের জন্য গরমে যে সর্দি, কাশি, হাঁচি প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয় তা দূর করে ভিটামিন সি।
-কাঁঠালকে শক্তির বিশাল উৎস| এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি থাকলেও স্যাচুরেটেড ফ্যাট নেই বললেই চলে| এতে উপস্থিত চিনি সহজেই আমাদের শরীর হজম করতে পারে| ডায়বেটিস রোগীরাও নির্দ্বিধায় কাঁঠাল খেতে পারেন|
-কাঁঠালের বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ল্যাভিনয়েড নামের উপাদান স্তন, প্রোস্টেট, পাকস্থলী ও ফুসফুসের ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করে।
-কাঁঠালে আঁশ জাতীয় ফল| এটি খাবার হজম করতে সহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, রক্ত পরিষ্কার রাখে এবং হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে ক্ষতিকর চর্বি জমাতে বাধার সৃষ্টি করে। এর পটাশিয়াম দেহের কোষগুলোর বৃদ্ধি বা বর্ধনে সাহায্য করে।
-এতে চর্বির পরিমাণ খুব কম। তাই বেশি খেলেও ওজন বাড়ার শঙ্কা নেই।
-যাদের রক্তাস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া আছে তারা কাঁঠাল খেলে উপকার পাবেন|
-কাঁঠাল চোখের জন্য বেশ উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ আছে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
-এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ শরীরের নানা রকমের রক্তরোগকে প্রতিরোধ করে। কাঁঠালে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস উপাদান আলসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে কার্যকর।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট ৮:৪৩ পিএম,১৭ জুন ২০১৬,শুক্রবার
এইউ