Home / সারাদেশ / কাঞ্চনপুরে রায় উপেক্ষাকরে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ
কাঞ্চনপুরে

কাঞ্চনপুরে রায় উপেক্ষাকরে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

সরকার পতনের পর পূর্বের সালিস-দরবারের রায় উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।

জানা যায়, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ১ নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম বিঘা সাবেক আনোয়ার মেম্বার (খদ্দচন) বাড়ীর ১১ শতাংশ ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। খরিদ সৃত্রে তিন দলিলের মধ্যে এক দলীলের প্রতিপক্ষ রাড়ি বাড়ীর মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মিজান ও তার ছোট ভাই বিল্লাল এবং মফিজুল ইসলামের ছেলে হারুনুর রশিদ ও সাখাওয়াত হোসেন। তাদের কাছ থেকে ২নং বিঘা মৌজা ১১ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেন পাশ্ববর্তী একই বাড়ীর মৃত শহিদুল্লাহ। প্রায় ৩০ বছর ধরে মৃত শহিদুল্লাহর পরিবার তাদের খরিদকৃত সম্পত্তি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছে।

সৃত্রমতে জানাযায়, প্রতিপক্ষ মৃত নুরুল ইসলাম গংদের সাথে তাদের বাড়ীর অন্য পক্ষ আনোয়ার ও রুস্তম আলী গংদের সাথে বিগত ৩৮ বছর ধরে মামলা চলমান রয়েছে। তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধে খেসারত দিতে হচ্ছে মৃত শহিদুল্লাহর পরিবার। ২০০২ সালে নুরুল ইসলাম গংদের কাছ থেকে ১১ শতাংশ ভূমি দুই দাগে ক্রয় করেন মৃত শহিদুল্লাহ। কিন্তু তাদের পূর্বের বাপ দাদার জটিলতা নিয়ে মামলার ঝামেলা খরিদকৃত শহিদুল্লাহর পরিবারের উপরে চাপানোর চেষ্টা করে আসছে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ওয়ারিশ সম্পত্তি রয়েছে দাবি করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা চালাতে আসে।

এ সংক্রান্ত অভিযোগে গত ২০২৪ সালের মার্চ মাসের দিকে বাড়ীতে এবং কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক বৈঠকের পর বিষয়টি এক পর্যায়ে সমাধান করা হয়। সেই আলোকে মাপ ঝোপের পর পিলার দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে তারা পূর্বের সমাধানকৃত বিষয়টি অস্বীকার করে জোরপূর্বক অবৈধ দখলের পায়তারা লিপ্ত রয়েছে।

স্থানীয় সালিশদার মোস্তফা মিয়া বলেন, তাদের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যানসহ সালিসি বৈঠকে মিমাংসা করা হয়েছে। এখন যদি তারা না মানে সে ক্ষেত্রে বলার কিছু নেই।

ভূমির মালিক মৃত শহিদুল্লাহর ছেলে আব্দুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভোগদখল কৃত সম্পত্তিতে ভোগদখলে আছি। হঠাৎকরে প্রতিপক্ষ মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মিজান ও তার ছোট ভাই বিল্লাল এবং মফিজুল ইসলামের ছেলে হারুনুর রশিদ ও সাখাওয়াত হোসেন মিলে রাতের আধারে দলবল নিয়ে আমাদের চাষের জমির মাঝখানে আইল দিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে পূর্বের সালিসদারদের কাছে গিয়েও কোন আশু সমাধান পাচ্ছি না। তাই আমার পরিবার এ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ২০০২ সালে আমার বাবা মৃত নুরুল ইসলামের কাছ থেকে তারা ১১ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে। সেইসময় বিভিন্ন দাগে সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছে কিন্তু তারা এক দাগে দখল করেছে। আমরা বলেছি অন্য দাগে নেওয়ার জন্য। তারা না মানায় আমরা জমির মধ্যে আইল দিয়েছি।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৭ জানুয়ারি ২০২৪