কুমিল্লায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে জেলার স্থায়ী-অস্থায়ী পৌণে চার’শ পশুর হাট। এসব হাটে বিপুল সংখ্যক দেশিয় গরু-ছাগলের সমাগম ঘটেছে। তবে, দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রিতিক্রয়া। বেশিরভাগ বাজারে দেখা যায়নি জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন।
জেলার বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে এখন শেষ মুহুর্তের বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এবার বিপুল পরিমাণ দেশীয় গরু লক্ষ্য করা গেছে হাটগুলোতে। তবে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় কোন গরু বাজারে আসতে দেখা যায়নি। এবার পশুর দাম আগের বারের তুলনায় বেশী এবং ভারতীয় কোন গরু না আসা দাম বেশীর কারন বলে মনে করছেন এই ক্রেতা।
এদিকে দাম হাতের নাগালে আসার অপেক্ষায় ক্রেতারা যেমন বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন, তেমনি বিক্রেতারাও কাঙ্খিত দামের আশায় পশু ছাড়ছেন না। এবার পশুর মূল্য নিয় বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য। ছোট গরু বিক্রতারা বলছে বাজার ভালো আর বড় গরু বিক্রতরা বাজার দর নিয়ে হতাশ।
এদিকে রোগাক্রান্ত গরু শনাক্তে হাট গুলোতে ৬৮টি ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে বানিয়েছন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সমীক্ষা অনুযায়ী এ বছর জেলায় গরু ও ছাগলের চাহিদা রয়েছে মোট প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
অপরদিকে এসব গরুর হাট কেন্দ্র করে কোনো অপরাধী চক্র যেন অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে লক্ষ্যে র্যা ব পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহলসহ নজরদারি বৃদ্ধিসহ সিসি ক্যামেরা এবং জাল টাকা সনাক্ত করনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান, কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তবে, বেশিরভাগ বাজারে এসব দেখা যায়নি।
জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা