দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে কাগজের ঠোঙা ও বক্স তৈরি করে সফল হয়েছেন চাঁদপুরের কচুয়ার পালাখাল গ্রামের অধিবাসী বাপ্পি সাহা। মাত্র ৫ হাজার টাকার পুজিঁ নিয়ে প্রথমে ব্যবসা শুরু করে এখন সফল ব্যবসায়ী হয়েছেন তিনি। জীবিকার তাগিদে ভাগ্যবদলের সাফল্য পাওয়ায় খুশি তার পরিবার। বর্তমানে বাপ্পি সাহা প্যাকেজিং অ্যান্ড ফরেন কারখানায় ১২জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পালাখাল গ্রামের অধিবাসী কৃষ্ণ সাহার ছেলে বাপ্পি সাহা ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে মাত্র ৫ হাজার টাকার পুজিঁ নিয়ে কাগজের ঠোঙ্গা তৈরি কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও সংস্থা থেকে ঋন নিয়ে বৃহত্তর আকারে ব্যবসা বড় করেন। তারপর থেকে পিছনে তাকাতে হয়নি তার। পালাখাল বাজারে অবস্থিত তার কাগজের ঠোঙ্গা কচুয়া, সাচার, রহিমানগর সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। কঠিন পরিশ্রম ও সততার কারনে তিনি আজ সফল ব্যবসায়ী। তাঁর সফল হওয়ার পিছনে তার বাবা ও ভাইদের অবদান ছিল বেশি। ঠোঙ্গা ও মিষ্টির বক্স তৈরির যাবতীয় কাগজ ও বোর্ড ঢাকা থেকেই সংগ্রহ করতে হয়। নিজের পরিশ্রম ও যাবতীয় খরচ মিলিয়ে ব্যবসায় লাভ থাকছে তার। ব্যবসাটিকে আরো বৃহত্তর আকার পরিসর করতে সরকারি সহায়তা চান তিনি।
ব্যবসায়ী বাপ্পি সাহা জানান, ছোট বেলা থেকে অনেক পরিশ্রম করেছি। ক্ষুদ্র চালান নিয়ে কাগজের ঠোঙ্গা তৈরির কাজ শুরু করি। পর্যায়ক্রমে ব্যবসা পরিসর হতে থাকে। পিছনে তাকাতে হয়নি আর। পরিবারের সার্বিক সহযোগিতা ও নিজ উদ্যমীর কারনে আজকে এ অবস্থান তৈরি হয়েছে। বর্তমানে আমার কারখানায় ১২জন শ্রমিক কাজ করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে এ ব্যবসায় মুনাফা বেশি থাকায় দ্রুত লাভবান হওয়া যায়। শিক্ষিত বেকার যুবকদের এ কাজে আগ্রহী হলে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই ব্যবসাটিকে আরো বৃহত্তর আকারে স্থাপন করতে সরকারি সহযোগিতা কামনা করছি।
কারখানার শ্রমিক খোকন ও রিয়াদ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বাপ্পি সাহার কারখানায় কাজ করছি। মালিক ভালো হওয়ায় আমাদের কোনো ধরনের অসুবিধা হয়নি। নিয়মিত ভাবে আমাদের মাসিক বেতন পরিশোধ করেন। যার কারনে আমরা পরিবার নিয়ে খুবই ভালো আছি।
ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, বাপ্পি সাহার মতো কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় এ রকমের অনেক প্যাকেজিং কাজ হয়। যেগুলো কচুয়ার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। আমরা এসব উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১৬ অক্টোবর ২০২৪