কোরবানির ঈদ মানেই কাঁঠাল পাতার আলাদা কদর। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ঝিনাইদহের শতাধিক পরিবার কাঁঠাল পাতা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে তাদের ব্যবসা আরো জমজমাট হয়ে উঠছে। এই পাতা বিক্রি করে জেলার শতাধিক পরিবারের সংসার চলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন ডিসি কোর্টের সামনে, উজির আলী মাঠের সামনে, মডার্ন মোড়ে, হাটের রাস্তায়, হামদহ বাসস্ট্যান্ডে, আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডে, টার্মিনাল এলাকাসহ পুরো জেলার প্রায় শতাধিক স্থানে বিক্রি হচ্ছে কাঁঠাল পাতা।
স্থানীয় উজির আলী জানান, বর্তমান ছোট একমুঠো কাঁঠাল পাতার দাম ১০ টাকা এবং বড় একমুঠো পাতার দাম ২০ টাকা। এ কাজের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই সংসার চালাতে পারছেন তিনি।
তিনি বলেন, কাঠ ব্যবসায়ীরা গাছ কিনলে মোবাইল ফোনে আগেই যোগাযোগ হয়ে যায় পাতা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা যেসব গাছ কিনবেন সেসব গাছের কাঁচা পাতা পাইকারি দরে কিনে নিই আমরা।
আরেক পাতা ব্যবসায়ী বলেন, যখন এক টাকা মুঠো ছিল তখন থেকে পাতা বিক্রির কাজ শুরু করেছি। আগে ব্যবসার গুরুত্ব ছিল কম কিন্তু এখন এই ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আগে কাঁঠাল গাছ সবজায়গাতেই পাওয়া যেত। কিন্তু এখন আর গ্রাম ছাড়া পাওয়া যায় না। তাই শহরের মানুষকে বাধ্য হয়েই কিনতে হয়। এখন সব বাজারেই কাঁঠাল পাতার ব্যবসা হয়। বর্ষা মৌসুমে এবং কুরবানির ঈদের সময়ে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় পাতা বিক্রি তুলনামূলক বেশি হয়।
এ বিষয়ে ক্রেতা মনু মন্ডল বলেন, কোরবানির পশু ছাগলের জন্য পাতা কিনতে হচ্ছে। এখন একমুঠো পাতা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে। তবে এটা ভালো যে এখন আর পশুর খাবারের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। এখানে আসলেই পাওয়া যায়।
নিউজ ডেস্ক ।।আপডটে, বাংলাদশে সময় ১১:১২ পিএম,৮ সেপ্টেম্বন ২০১৬ বৃহস্পতিবার
এইউ