চাঁদপুরে আড়তগুলোতে কেমিক্যালে পাকানো হয় কাঁচা কলা

চাঁদপুরের আড়তগুলোতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কার্বাইড জাতীয় কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হচ্ছে কাঁচা কলা। বাজারে পাওয়া অধিকাংশ কলা বিষাক্ত এ কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কলা দ্রুত পাকাতে ব্যবহার করে এসব কেমিক্যাল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলা শহরের চৌধুরীঘাট এলাকায় রয়েছে প্রায় ২০টি কলার আড়ত। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ লাখ টাকার কলা বিক্রি হয় বিভিন্ন গ্রামের বাজারে। এছাড়া প্রায় সব উপজেলায় রয়েছে কয়েকশ কলার আড়ত। সবগুলো আড়তেই কলা পাকানোর কাজে ব্যবহার করা হয় বিষাক্ত কার্বাইড।

শহরের ব্যাংক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, সন্তানের জন্য আমি নিয়মিত কলা কিনি। কলার দাম বাড়ছেই অথচ আগের মতো স্বাদ পাই না। কলার খোসার রং গাঢ় হলুদ দেখালেও অনেক সময় ভেতরের অংশ কাঁচা কিংবা শক্ত থাকে। প্রাকৃতিকভাবে পাকানো হলে কখনোই কাঁচা কলার রং হলুদ হয় না।

অধিকাংশ আড়তে বিক্রি হয় কেমিক্যাল মিশ্রিত কলা চৌধুরীঘাটের কয়েকজন আড়তদার জানান, আমরা কলায় ভিটামিন দেই। এতে কলার রং সুন্দর হয় এবং ১২-১৪ ঘণ্টার মধ্যেই পেকে যায়।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল চাঁদপুর টাইমসকর জানান, কেমিক্যাল মিশ্রিত কলা অথবা যেকোনো ফল খেলে বদহজম, পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, জন্ডিস, গ্যাস্ট্রিক, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ হতে পারে। এছাড়া প্রসূতিরা কেমিক্যালের প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিতে পারেন।

জেলা মার্কেটিং অফিসার এনএম রেজাউল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, কলার আড়তগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। কলায় কেমিক্যাল মেশানোর প্রমাণ পাওয়ায় কয়েকটি আড়তকে জেল-জরিমানা ও সর্তক করা হয়েছে। শিগগিরই আবারো অভিযান চালানো হবে। কেমিক্যালযুক্ত কলা বিক্রির প্রমাণ পেলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২৩ মে ২০২১

Share