অসময়ের টানা বৃষ্টিপাতে ফরিদগঞ্জে অন্তত ৩০ ইটভাটায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েক দিনে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে ইটভাটায় শুকাতে দেওয়া এতে ৩ কোটি কাচা ইট গলে নষ্ট হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
পোড়াতে দেয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি কাঁচা ইটে তাদের ব্যয় হয় সাড়ে ৩ টাকা। এ অর্থনৈতিক ক্ষতি দাঁড়ায় অন্তত ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া আরো অন্যান্য জ্বালানি অসময়ের এ বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে।
যার ফলে ইটভাটার মালিকেরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ইট পোড়ানোর মৌসুমের শুরুতে এমন লোকসানে ইটভাটার মালিকেরা দিশেহারা।
উপজেলার গোয়ালভাওর বাজার সংলগ্ন মেসার্স এনবিবি ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে দেখা যায়, শুকাতে দেওয়া ৬ লাখ কাচা ইট বৃষ্টির পানিতে গলে গেছে। এছাড়া ইটভাটার ভিতরে পানি ঢুকে পোড়ানোর জন্যে প্রস্তুতকৃত আরো ২লাখ ইট নষ্ট হয়ে গেছে।
ওই ব্রিক ফিল্ডের মালিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, গত শুক্রবার ২ লক্ষ ইট পোড়ানোর জন্য ভাটায় আগুন দেওয়া হয়। কিন্তু তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে ভাটায় পানি ডুকে সকল কাচা ইট গলে গেছে। এছাড়া ভাটার বাইরে শুকাতে দেওয়া ৬ লক্ষ কাচা ইটও গলে গেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া পৌরসভাধীন টিএনবি ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে শুকাতে দেওয়া কাচা ইট গলে যাওয়ার একই চিত্র দেখা যায়। এসর্ম্পকে ওই ব্রিক ফিল্ডের একজন অংশীদার মো. মজিবুর রহমান বাচ্চু চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, গত বছর ট্রাক্টর বন্ধ হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের দুটি ফিল্ডে ৬০ লাখ টাকা লোকসান হয়। পূর্বের লোকসান কাটিয়ে উঠার আগেই হঠাৎ বৃষ্টিতে আবারো দুটি ফিল্ডে প্রায় ৬০ লাখ টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেলো। এছাড়া বৃষ্টিতে কয়লাও নষ্ট হয়েছে। ট্রাক্টর বন্ধ হয়ে যাওয়া ফিল্ডে গত বছরের অবিক্রিত কয়েক লাখ ইট পড়ে আছে।
ইটভাটা মালিক সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, প্রতিটি ইটভাটায় ৮ থেকে ১০ লাখ ইট নষ্ট হয়েছে। পুরো মৌসুমে ইট বিক্রি করেও এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে না। গত ৩০ বছরের ইতিহাসে এইরকম বৃষ্টিপাত দেখি নাই।
আতাউর রহমান সোহাগ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:১০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur