চাঁদপুর সদরের কল্যান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মোস্তফা খান তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের অন্ডকোষে চাপ প্রয়োগ করে লঙ্কাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আর এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়সহ এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একে একে দু বার এমন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাছে এমন বেমানান আচরন পাওয়ায় সদর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের শিশু ছাত্রের পিতা জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে ৮ নভেম্বর চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও একই অভিযোগ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বরাবরে প্রেরণ করা হয়।
ছাত্রের পিতা জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া জানান তার স্ত্রী হোসনেয়ার আক্তার ওই বিদ্যালয়ের একজন সহকরী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। তাদেরই শিশুপুত্র আল জিহাদ রাফিন (৮)। সে বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। তার রোল নং ১।
গত একমাস পূর্বে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা খান শিশু ছাত্র আল জিহাদ বিন জামালের গোপনাঙ্গ ও তার অন্ডকোষে চাপ প্রয়োগ করে।
এতে শিশুটি অনেক ব্যাথা পেয়ে কান্নাকাটি করলে তারা এ ব্যাপারে মোস্তফা খানকে জিগ্গেস করলে প্রথমে তিনি তা’ অস্বীকার করেন। আবার দুষ্টমি করছে বলে বিষয়টিকে অন্যদিকে নিয়ে যান। আবার তাদের এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে শিক্ষিকা হোসনেয়ারাকে চাকরি থেকে বাদ দেবেন বলে হুমকি দেন। তারই প্রেক্ষিতে ৬ নভেম্বর পুনরায় আবার ওই প্রধান শিক্ষক গণিত ক্লাস চলাকালীন শিশুছাত্র আল জিহাদ বিন জামালের গোপনাঙ্গের অন্ডকোষে স্বজোরে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে শিশু জিহাদ গোপনাঙ্গের অন্ডকোসে অনেক ব্যাথা পেয়ে আহত হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আর এ ঘটনার পর শিশু জিহাদ প্রধান শিক্ষক মোস্তফা খানের ভয়ে আর স্কুলে আসবেনা বলে জানান।
তাকে যতই বুঝিয়ে ভুলিয়ে বালিয়ে স্কুলে আসার কথা বলা হয় কিন্তু সে ভয়ে কোন ভাবেই স্কুলে আসতে রাজি নন।
জিহাদ স্কুলে না আসতে চাইলে তার পড়ালেখার ক্ষতির কথা চিন্তা করে পরিবারের লোকজন এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে প্রধানশিক্ষক গটনার কথা অস্বীকার করেন এবং বিভিন্ন গালমন্দ করে কেউই তার কিছুই করতে পারবেনা বলে শাসান। এভাবে তিনি বিভিন্ন ভাবে দাপট খাটিয়ে নিজেকে অনেক ক্ষমতাবান দেখান।
এদিকে একজন প্রধানশিক্ষকের এমন অশোভনীয় কার্যকালাপে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসি। স্থানীয় এলাকার একাধিক ব্যাক্তি ওই প্রধান মিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের মাঠ ভরাটের বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ আরো অনেক অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা এমন অসৎ চরিত্রের প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষকের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।