কলাকে বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচাইতে আকর্ষনীয় ফল। সুস্বাস্থ্য রক্ষায়ও কলা খুবই উপকারি। ভিটামিন- এ, সি, কার্বোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম সহ নানান ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল খেতেও যেমন চমৎকার, স্বাস্থ্যের জন্যেও তেমন ভাল।
তবে আজকে কলা নয়, জানব কলার খোসা সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য। অবাক হলেও সত্য যে, কলার খোসা সম্পূর্ণভাবে খাদ্য উপাদান হিসেবে গ্রহণযোগ্য। অনেকেই কলার খোসাকে বিষাক্ত মনে করে থাকেন। তবে কলার খোসাও খাওয়া যায় অন্যান্য ফলের সাথে ব্লেন্ড করে, ভেজে কিংবা সিদ্ধ করে। কলার খোসা বিভিন্নভাবে খাওয়া ব্যাতিত এর আরো কিছু দারুণ ব্যবহার রয়েছে সৌন্দর্যচর্চার ক্ষেত্রেও। চলুন জেনে নেওয়া যাক কলার দারুণ তিনটি ব্যবহার সম্পর্কে।
দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করার ক্ষেত্রে কলার খোসা
সঠিক পরিচর্যার অভাবে অথবা আবহাওয়া জনিত কারণে অনেকের দাঁতেই হলদেটে ভাব দেখা দেয়। বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যালযুক্ত হোয়াইটেনিং টুথপেষ্ট নয়, বরং কলার খোসা ব্যবহারে দ্রুত ও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে কোন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। টানা দুই সপ্তাহে প্রতিদিন একটি করে কলার খোসা দাঁতের উপরে ব্রাশ করার মতো করে ঘষলে দাঁতের হলদেটে ভাব দূর হয়ে যাবে খুব সহজেই।
ত্বকের সমস্যা ও আঁচিল দূর করতে কলার খোসা
কলার খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-এইজিং উপাদান। যার ফলে কলার খোসা ত্বকের জন্যে দারুণ উপকারী। কারোর ত্বকে আঁচিল এর সমস্যা থাকলে কলার খোসা ব্যবহার করলে আঁচিল এর সমস্যা দূর হয়ে যায়।
এছাড়াও, কলা ও কলার খোসাতে রয়েছে বেদনানাশক উপাদান সমূহ। যে কারণে, ত্বকের কোথাও ব্যথাভাব দেখা দিলে কলার খোসা সেই স্থানে ঘষলে ব্যথাভাব অনেকটা কমে যাবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে কলার খোসা
জানেন কি, কলার খোসা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে! রাতের খাবারে শুধুমাত্র কলার খোসা গ্রহণ করার অভ্যাস গড়ে তুললে এক মাসের মাঝে ৫ পাউন্ড ওজন কমানো সম্ভব হয়।
কলার খোসা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপার অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কলার খোসা ছিলে ফেলার পর বেশিক্ষণ অব্যবহৃত অবস্থায় রেখে দিলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। তাই খোসা ছিলে ফেলার সাথে সাথেই ব্যবহার করে ফেলতে হবে।
নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ ৮:১৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ বুধবার।
এ.এস
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur