চাঁদপুরে কুমিল্লা কর অঞ্চলের ৩টি সার্কেলে চলতি অর্থবছরে ১৬৬ কোটি টাকা কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। চাঁদপুরের উপ কর কমিশনের কার্যলয় সূত্রে তথ্যে জানা গেছে। গত অর্থ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় ৩টি সার্কেলে কর আদায় হয়েছে ৯৬ কোটি ২০ লাখ। অথচ ওই বছরে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৫ কোটি টাকা । কর প্রদান করেছেন ২৩ হাজার ৫ শ’ ৪৯ জন করদাতা।
সার্কেল ১৮এর চাঁদপুর সদরের সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ও চাঁদপুর সদরের একাংশের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১১০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আদায় ৬৮ কোটি টাকা। এতে তালিকাভূক্ত কর দাতার সংখ্যা হলো ১৪ হাজার।
সার্কেল ১৯ এর কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা । গত অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আদায় ১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এতে তালিকাভূক্ত কর দাতার সংখ্যা হলো ৩ হাজার ১শ ৩০ জন । সার্কেল ২১ হাজীগঞ্জ এর কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আদায় ১৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। এতে তালিকাভূক্ত কর দাতার সংখ্যা হলো ৬ হাজার ৪শ’ ১৯ জন ।
তথ্যমতে, চাঁদপুর কর অঞ্চল ৩ ভাগে বিভক্ত। এগুলো হলো : সার্কেল ১৮, ১৯ ও ২১। সার্কেল ১৮ হলো-চাঁদপুর সদরের সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের বেতন, চাঁদপুর সদরের একাংশ,সার্কেল ১৯ হলো-মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, হাইমচর ও চাঁদপুর সদর। সার্কেল ২১ হলো-কচুয়া, শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ উপজেলা।
জনা যায়- মে ও জুন মাসেই করদাতাগণ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন বেশি। রিটার্ন জমা দেয়ার সর্বশেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর ২০২০। এর পর থেকে কর আইনের ১২৪ ধারা মতে কর পরিশোধের পরদিন ১ হাজার টাকা এবং এর পরের দিন থেকে দৈনিক ৫০ টাকা হারে জরিমানা করার বিধান রয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে তা বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়েছে ।
আবদুল গনি , ১৯ আগস্ট ২০২১