Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুরে তিন কর সার্কেলে ৬৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা আদায়
কর
ফাইল ছবি

চাঁদপুরে তিন কর সার্কেলে ৬৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা আদায়

চলতি বছরের ৪ মাসে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি-কচুয়া সার্কেল-২১ সহ চাঁদপুর জেলার ৩ কর অঞ্চলে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬৬ কোটি টাকা। অর্থবছরের ৪ মাসে জুলাই,আগস্ট সেপ্টেম্বর , অক্টোবর ও নভেম্বর পর্যন্ত ১৮, ১৯ ও ২১ এ ৩ টি সার্কেলে ২৮ হাজার ১শ ১৮ জনের বিপরিধে আদায় হয়েছে ৬৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

চাঁদপুর আঞ্চলিক কার্যালয় ১৮ ও ১৯ ও হাজীগঞ্জ -২১ এ তথ্য ৩ ডিসেম্বের দেয়া এক তথ্যে জানানো হয়েছে ।

প্রাপ্ত তথ্যে মতে, চাঁদপুর কর অঞ্চল ৩ ভাগে বিভক্ত। এ গুলো হলো- সার্কেল ১৮, ১৯ ও ২১। সার্কেল ১৮ হলো-চাঁদপুর সদরের সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের বেতন, ফরিদগঞ্জ-চাঁদপুর- সদরের একাংশ, সার্কেল ১৯ হলো-মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ,হাইমচর ও চাঁদপুর সদর। সার্কেল ২১ হলো-কচুয়া, শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ উপজেলা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে এর মোট লক্ষ্যমাত্রা ২ শ ৬৬ কোটি টাকা এবং আদায় করা হয়েছে ৬৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এর লক্ষ্যমাত্রা ছিল হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি-কচুয়া সার্কেল-২১ এর টিআইএনধারীর সংখ্যা হলো ৬১ কোটি ও টিআইদারি সংখ্যা ৩৩ হাজার ১শ ১৪ জন । নভেম্বর পর্যন্ত ৬ হাজার ২শ জন রিটার্ণ জমাকারীর কাছ থেকে আদায় করেছে- ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা ।

এ অর্থবছরে জেলায় সার্কেল-১৮ (চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ ) এর টিআইএনধারীর সংখ্যা হলো ৪৫ হাজার এবং কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হলো-১৬০ কোটি টাকা। নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার ২ শ ৭৭ জন রিটার্ণ জমাকারীর কাছ থেকে আদায় করেছে- ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সার্কেল-১৯ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ ) এর টিআইএনধারীর সংখ্যা হলো ৫৪ হাজার ৮ শ ৭৫ জন এবং কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হলো- ৪৫ কোটি টাকা। নভেম্বর পর্যন্ত ৭ হাজার ৬ শ ৪১ জন রিটার্ণ জমাকারীর কাছ থেকে আদায় করেছে- ১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা টাকা।

সার্কেল ২১ হাজীগঞ্জ এর সহকারী কর-কমিশনার সৌমিত্র কুমার সরকার ২ সিসেম্বর বলেন, ‘ কর প্রদানকারীদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এদিকে প্রতিদিনই টিআইএন ধারীর সংখ্যা বাড়ছে । সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের যে সকল টিআইএন ধারী ব্যবস্্যা সাথে জতি বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। ফলে বর্তমানে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

চাঁদপুর কার্যালয়ের অঞ্চল ১৮ এর সহকারী কর কমিশনার ৩ ডিসেম্বের জানান ,‘কর দাতার সংখ্যা কখনো স্থীর থাকে না। প্রতিবছরই অবসর জনিতকারণে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা গুটিয়ে ফেলার কারণে কিংবা নতুন নতুন ব্যবসায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি প্রভৃতির কারণে কর দাতার সংখ্যা বেশি বা কমে যায়।’ কর আদায়ের জন্যে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে ।

চাঁদপুরে বিশেষ ব্যবস্থায় আয়কর রিটার্ণ দাখিল কারীদের সার্বিক সহায়তা করার লক্ষ্যে অফিস কম্পাইন্ডে হেল্প ডেক্স বাসানো হয়েছে । আশা করি টার্গেট পূর্ণ হবে । টার্গেট পূরণে কাজ অব্যাহত রয়েছে। রিটার্ন জমা দেয়ার সর্বশেষ তারিখ ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০২৪ বাড়ানো হয়েছে বলে ঔ কর্মকর্তা জানান।

আবদুল গনি
৩ ডিসেম্বর ২০২৪
এজি