চাঁদপুরে এক দিনে দু দফা করোনা পরীক্ষার ১৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। ২৩ মে শনিবার দুপুরে আসা রিপোর্টে পজেটিভ ছিলেন পুলিশের এসআইসহ ৭ জন। আর রাতে আসা ৪৫টি রিপোর্টের মধ্যে পজেটিভ এসেছে ১২ জনের রিপোর্ট।
এতে করে একদিনেই করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বাড়লো ১৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩০ জনে। এর মধ্যে শহরের রয়েছে ৭০ জন। যার ফলে ক্রমেই করোনা হটস্পট হয়ে উঠছে চাঁদপুর শহর।
২৩ মে শনিবার দুপুরে আসা রিপোর্টে পজেটিভ ৭ জনের মধ্যে চাঁদপুর পৌর এলাকার ৪ জন, কচুয়া থানার একজন এসআই, ফরিদগঞ্জের ১ জন এবং হাজীগঞ্জের একজন ছিলেন।
সিভিল সার্জন অফিসে সূত্র জানায়, শনিবার রাতে আরো ৪৫জনের নমুনা টেস্টের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ১২জন পজেটিভ। আর বাকী ৩৩জনের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ।
এ নিয়ে ৯ এপ্রিল থেকে ২৩ মে শনিবার পর্যন্ত এ ৪৫ দিনে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৩০ জনে।
চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ১৩০জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ৭৭, ফরিদগঞ্জে ১৬, মতলব উত্তরে ৬, হাজীগঞ্জে ৭, মতলব দক্ষিণ ৬, কচুয়ায় ৮, শাহরাস্তিতে ৮ ও হাইমচরে ২জন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ জানিয়েছেন,শনিবার সকালে প্রথম দফার রিপোর্টে ৭ জন পজেটিভ ছিল। আর রাতে আসা দ্বিতীয় দফার রিপোর্টে আরও ১২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এখনো শতাধিক রিপোর্ট পেন্ডিং আছে।
তিনি বলেন, উপজেলাগুলোর পরিস্থিতি খারাপ না। কিন্তু শহরের পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক ব্যবহার এবং ৬ ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন জানান, সারা জেলার ১৩০জন করোনা রোগীর মধ্যে ৭৭জন’ই চাঁদপুর সদর উপজেলার। শুধুমাত্র চাঁদপুর পৌর এলাকার রোগী সংখ্যা ৭০জন। যা সারা জেলার মোট রোগীর অর্ধেকেরও বেশি। সদর উপজেলায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪জন।
এদিকে চাঁদপুর শহরে নতুন করে আরো যে ১০জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন : ওয়্যারলেস এলাকার ৩জন, মমিনপাড়ার ১জন, সদর মডেল থানার ১জন পুলিশের এসআই, প্রফেসরপাড়ার ১জন, বাবুরহাটের ২জন, হাজী মহসিন রোডের ১জন এবং স্টেডিয়াম রোডের ১জন।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ২৩ মে ২০২০