আন্তর্জাতিক

বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৩ কোটি ৮০ লাখ ছাড়াল : বাংলাদেশের অবস্থান ১৬তম

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে আজ বুধবার সকাল নাগাদ করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগী ৩ কোটি ৮০ লাখ ৪৬ হাজার ১৮ জন।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১০ লাখ ৮৫ হাজার ১৫ জন।

বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ২৬০ জন।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪২ জন। মারা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৮২ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮০ জন। দেশটিতে মারা গেছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮৫৬ জন।

ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫১ লাখ ৩ হাজার ৪০৮ জন। দেশটিতে মারা গেছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৯ জন।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। কলম্বিয়া পঞ্চম। ষষ্ঠ আর্জেন্টিনা। সপ্তম স্পেন। পেরু অষ্টম। নবম মেক্সিকো। ফ্রান্স দশম।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৬তম। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯ ’।

১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ২৭৫ জনের।

এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৭৭ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকার।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।

শুরুর দিকে দেশে সংক্রমণ হয়েছে ধীর গতিতে। মে মাসের মাঝামাঝি সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। আর জুনে সংক্রমণ পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করে। মাস দু-এক ধরে দৈনিক নতুন রোগীর সংখ্যা কমেছে।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলে আসছেন, আক্রান্তের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম। কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলে এটি আরও কমানো সম্ভব।

বার্তা কক্ষ,১৪ অক্টোবর ২০২০

Share