কোন উপসর্গ নেই। পরিবাররের সবার নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বলছিলাম চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কথা।
তিনি নিজ বাসায় আইসোলিশনে আছেন। গত ৩০ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও সেই রিপোর্ট আসেনি। তবে ২৭ এপ্রিল প্রথম নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে। তারপর প্রশাসন ও থানা পুলিশের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ মে রোববার হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের যেহেতু নেগেটিভ এসেছে এবং ইউএনও স্যারেরও কোন উপসর্গ নেই এবং ছিলো। তাঁর পরিবারের সবার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। তাহলে ধারণা করা যেতে পারে গত ২৯ এপ্রিল ইউএনও স্যারের করোনা রিপোর্ট ভুল হয়েছে।’
রোববার দুপুর পর্যন্ত হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫৬ জনের মধ্যে ৪৯ জনের রিপোর্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে এসেছে। সবারই করোনা নেগেটিভ। ওই ৫৬ জনের মধ্যে রয়েছেন হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ এম শোয়েব আহমেদ চিশতী ও থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ এম শোয়েব আহমেদ চিশতী জানান, ২ মে এসেছে ২২ জনের রিপোর্ট এবং আজ ৩ মে এসেছে আরো ২৭ জনের। আরো ৭ জনের রিপোর্ট অপেক্ষমান আছে। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি ও ইউএনওসহ (পুনরায় পাঠানো) আরো ৭ জনের রিপোর্ট অপেক্ষামান রয়েছে।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জন হয়েছে। ফরিদগঞ্জের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের আবুল বাসর ওরফে বাসু মিয়া (৭০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে রোববার রিপোর্ট এসেছে। গত ২৭ এপ্রিল তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। এ ঘটনায় বৃদ্ধের বাড়ি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার মৃত ওই বৃদ্ধসহ ৩৭জনের রিপোর্ট এসেছে। বাকী ৩৬জনের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। মৃত ওই ব্যক্তিসহ চাঁদপুর জেলায় এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯জন।
সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্ল্যাহ জানান, চাঁদপুর থেকে সর্বমোট ৪৬৫জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৪০৯ জনের রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্ট অপেক্ষমান আছে ৮৯টি।
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন – এবার হাজীগঞ্জ ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়ার করোনা শনাক্ত
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ৩ মে ২০২০