চাঁদপুর

‘করোনা উপসর্গ দেখলেই নিকটস্থ হাসপাতালে দ্রুত চলে আসুন’

চাঁদপুরের আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে অন্যান্য ডাক্তারদের মতো নিয়মিত চিকিৎসা এবং সেবা দিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডাঃ সোহেল আহমেদ। বর্তমানে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস নামে এক প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাঁরা মানবতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।

আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের বর্তমান আইসোলেশন ওয়ার্ডটি হাসপাতালের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায়। যেটি আগে পুরুষ ওয়ার্ড ছিলো। কোভিড তথা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের রাখা হয় ওয়ার্ডের একটি অংশে, আর সন্দেহভাজনদের রাখা হয় ওয়ার্ডের আরেক অংশে। ডাক্তারদেরকে কয়েকটি টিমের মাধ্যমে ভাগ করে এসব রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। প্রতি টিমে ১জন্য কনসালটেন্ট ও ৩ জন মেডিকেল অফিসার সহ কয়েকজন সেবিকা রয়েছে।

এমনি একটি টিম প্রধান হয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডাঃ সোহেল আহমেদ। তিনি নিয়মিত ভাবে হাসপাতাল ছাড়াও শহরের স্টেডিয়াম রোডের চাঁদপুর ডিজিটাল ডায়াগণস্টিক সেন্টারে তার নিজ চেম্বারে সকল রোগীদের এ করোনা কলীন সময়ে চিকৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা কালীন সময়ে প্রথম থেকেই রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ সমস্ত ডাক্তারদের আমাদের বলতে হয় তারা মানবতার ফেরীওয়ালা। তারা এ মহামারীকালীন সময়ে তাদের পেশা থেকে পিছপা হয়নি, ঘরে বসে থাকেনি। মানুষের কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।

আইসোলেশন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করা চাঁদপুরের একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডাঃ সোহেল আহমদ জানান, হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৭ দিন যাবত টিম লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে যারা আইসোলেশন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছ তারা ভালো আছে। যে সকল রোগীরা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের বেশির ভাগই হাসপাতালে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করে। এ সময় আমাদের কিছু করার থাকে না, কারণ তারা এত কম অক্সিজেন পায় যার কারনে তাদের ফুসফুসের অবস্থা ভালো থাকেনা, কঠিন হয়ে যায়।

করোনাকালিন সময়ের প্রথম থেকেই আমাদের চাঁদপুর জেলা বিএমএর সেক্রেটারী ডাঃ মাহমুদুন নবী মাছুম, আরএমও ডাঃ সৌজাউদ্দোলা রুবেল, সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিনর) ডাঃ মুহাম্মদ সিরাজুম মুনীর সহ সকল ডাক্তাররাই রোষ্টার করে আন্তারিকতার সহিত করোনা রোগীদে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, এ সময়ে মানুষ যেন ভয় না পায়, শরীর ও মনোবল যেন শক্ত রাখে। আর করোনার কোন উপসর্গ দেখলেই যেন নিকটস্থ হাসপাতালে দ্রুত চলে আসে। তাহলেই তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে। যারা এই রোগ নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং ভয়ে ঘরে বসে থাকেন, কারো সাথে শেয়ার করেন না তাদেরই অবস্থা পরবর্তীতে কঠিনতর হয়ে যায়। এদেরকেই বাঁচানো সম্ভব হয়ে পরেনা। তাই আমি বলবো, এ রোগ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই,দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে চলে আসুন।

করেসপন্ডেট,৫ জুলাই ২০২০

Share