চাঁদপুরে ভারত থেকে আসা কোনও করোনা আক্রান্ত রোগী এবং ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কোনও রোগী নেই বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ। ৯ মে রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
সকাল থেকে অনেকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঁদপুরে ভারত ফেরত করোনা শনাক্ত এবং ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে বলে স্ট্যাটাস দেন। তবে চাঁদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ দাবি করেছে, এ ধরনের কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বৃহস্পতিবার ভারত থেকে দু’জন ব্যক্তি আখাউড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের আগে তাদেরকে আগড়তলায় ১০ দিন আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এরপর তারা বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জে আসার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এখানে আসার পর তাদের শরীর থেকে আবারও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এখানেও তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এ দু’জন ছাড়া আর কোনও ব্যক্তির ভারত থেকে চাঁদপুরে আসার তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস. এম. সোয়েব আহমেদ চিশতী বলেন, ভারত থেকে হাজীগঞ্জের দু’জন বুধবার দিন বর্ডার ক্রস করে বাংলাদেশে আসেন। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে আসার পর শনিবার তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। অর্থাৎ তাদের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, তাদের করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাদেরকে হাসপাতালে আরও কিছুদিন থেকে আইসোলেশনের মেয়াদ পার করতে হবে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাজেদা পলিন বলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলায় ভারত থেকে আসা কোনও ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্যাহ বলেন, চাঁদপুরে ভারতফেরত কোনও করোনা আক্রান্ত রোগী আছে বলে আমার জানা নেই। তিনি বলেন, ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তার তথ্য মেইলে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, যশোর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন আমাদের কাছে তালিকা পাঠান কারা কারা দেশে প্রবেশ করেছেন। সে অনুযায়ী ভারত থেকে আসা দু’ হাজীগঞ্জ হাসপাতালে আছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ৩ জন আর দু’ জন ঢাকায় আছে বলে জানি। এছাড়া অন্য কোনও তথ্য আমার জানা নেই।
স্টাফ করেসপন্ডেট