করোনায় মৃত্যু ৩৩ লাখ ছাড়াল

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারিতে মৃতের সংখ্যা ৩৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্ত পৌঁছেছে ১৫ কোটি ৮৯ লাখে। দক্ষিণ এশিয়ার জনবহুল দেশ ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত। এরই প্রভাবে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যু।

সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯ হাজার ৭২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ লাখ ৬ হাজার ৩১৩ জনে।

নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জনের। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫৬ হাজার ১৯২ জনে।

সোমবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এখনও সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮১ জনের। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮১২ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৭১২ জন।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এর পরেই রয়েছে ভারত। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১০ জনের। মোট মৃত্যু দাাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৬ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৬ জন।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ল্যাটিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ২২ হাজার ৪১৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ১৩৫ জন।

তালিকার পরবর্তী অবস্থানে থাকা দেশগুলো হলো- ফ্রান্স, তুরস্ক, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন এবং জার্মানি।

সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখনও ৩৩তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১১ হাজার ৯৩৪ জন। আর করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ১০ হাজার ১৬২ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। চীনে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Share