করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি চিকিৎসক,নার্স, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বাস্থ্যকর্মী যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদের বিশেষ সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। কীভাবে তাদের বিশেষ সুবিধার আওতায় আনা যাবে সে সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিশেষ সুবিধা বাস্তবায়ন করবে সরকারি কর্মচারী বোর্ড। এ জন্য নীতিমালা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, `করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধার নীতিমালা চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা মারা গেছেন তারাও এ সুবিধা পাবেন।’
নীতিমালায় বলা হয়, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য,সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারী, যারা করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন-তারাই এ সুবিধার আওতাভুক্ত থাকবেন। তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরাই কেবল সুবিধা পাবেন।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ৫ লাখ টাকা, দশম থেকে ১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা আর প্রথম থেকে নবম গ্রেডের আক্রান্ত কর্মচারীরা পাবেন ১০ লাখ টাকা। একইভাবে ১৫ থেকে ২০তম গ্রেডের কেউ মারা গেলে ২৫ লাখ, দশম থেকে ১৪তম গ্রেডের কেউ মারা গেলে সাড়ে ৩৭ লাখ ও ১ম থেকে ৯ম গ্রেডের কেউ মারা গেলে পাবেন ৫০ লাখ টাকা।
তবে সরকারি হাসপাতালের বাইরে বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া কোনো চিকিৎসক,নার্স বা কর্মী আক্রান্ত হলে বা মারা গেলেও সরকারি এ আর্থিক সুবিধা পাবেন না।
জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত সরকারি কর্মচারী বা তাদের নমিনিদের এ সুবিধার আওতায় অর্থসহায়তা পেতে আবেদন করতে হবে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মনোনীত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে।
পাশাপাশি চিকিৎসার চার্টসহ হাসপাতালে ভর্তির প্রত্যয়নপত্র, হাসপাতালের বিল ও অন্য বিলও জমা দিতে হবে। আর মারা গেলে মৃত্যুসনদ জমা দিতে হবে। নানা প্রমাণপত্রসাপেক্ষেই আক্রান্ত ব্যক্তি বা মৃত ব্যক্তির নমিনিকে টাকা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া যে কর্মচারীর পক্ষ থেকে এ সুবিধার জন্য আবেদন করা হবে, তিনি করোনা মোকাবিলায় কীভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, তার সুনির্দিষ্ট বিবরণসংবলিত প্রত্যয়নপত্রও লাগবে। সেখানে তার কাজের ধরন, কোথায়, কীভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানপ্রধান এ প্রত্যয়নপত্র দেবেন।
ঢাকা ব্যুরো চীফ ,২৩ এপ্রির ২০২০
এজি