করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সারাবিশ্বের ক্লাব ফুটবলের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা), যা এর মোট আর্থিক মূল্যের প্রায় ১ তৃতীয়াংশ।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার একটি কমিটির প্রধান ওলি রেহেন।
মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফিফা কর্তৃক গঠিত কমিটির প্রধান রেহেন জানিয়েছেন, আর্থিক পরামর্শদাতাদের সঙ্গে মিলে যে হিসাব বের করেছে ফিফা, তাতে দেখা গেছে বিশ্বের ক্লাব ফুটবলের মোট আর্থিক মূল্য ৪০ বিলিয়ন থেকে ৪৫ বিলিয়নের মধ্যে।
অলি রেহেন আরও জানান, চলতি বছরের মহামারি পরিস্থিতির কারণে মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। যদিও তিন-চার মাস স্থগিত থাকার পর ফের ফুটবল শুরু হয়েছে। কিন্তু তার আশঙ্কা, মহামারি যদি শিগগিরই শেষ না হয়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার ঠিক নেই।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাবেক কমিশনার ও ব্যাংক অব ফিনল্যান্ডের বর্তমান গভর্নর রেহেন রয়টার্সকে বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ফুটবল। এটা এমন টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে কিছু পেশাদার ক্লাবও কঠিন সমস্যার মুখে পড়ে গেছে। আমি যুব অ্যাকাডেমি এবং নিচু স্তরের ক্লাবগুলোকে নিয়ে চিন্তায় আছি। ’
রেহেন জানান, দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ফুটবল তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আফ্রিকা ও এশিয়ার অবস্থাও সুবিধার নয়। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই বিপজ্জনক অবস্থা, কারণ এশিয়া ও আফ্রিকার ফুটবল উন্নয়নে যেসব ভালো কাজ হচ্ছিল তার সর্বনাশ হতে পারে। আমরা ধাক্কাটা সামাল দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। ’
করোনা মহামারির ধাক্কা সামাল দিতে এরইমধ্যে দেড় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ফান্ড গঠন করেছে ফিফা। রেহন জানিয়েছেন, ২১১ সদস্য দেশের মধ্যে ১৫০টি দেশ এরইমধ্যে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে।
ধীরে ধীরে পূর্বের অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে ফুটবল। তা সত্ত্বেও শঙ্কার মেঘ কিন্তু কাটছে না। কারণ করোনার ভ্যাকসিন এখনও তৈরি হয়নি। রেহেনের মতে, শিগগিরই ভ্যাকসিন তৈরি ও তা সবার জন্য উন্মুক্ত না হলে সমস্যা আরও বাড়বে এবং ফুটবলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
বার্তাকক্ষ, ১৬ সেপ্টেম্বর,২০২০;
কে. এইচ