করোনায় প্রভাব পড়েছে প্রিন্ট মিডিয়ার উপর। চাঁদপুরের নয়টি পেপার হাউজে কমেছে পাঠকসংখ্যা। মার্চ মাসে মাসিক গ্রাহকের বিল নিয়ে হিমশিম খেতে হবে এজেন্ট মালিকদের।
পত্রিকা বিলিকার সুমন বলেন, প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ পত্রিকা বিক্রি করতাম। এখন পারছি না। মাসিক গ্রাহক কয়েকদিনের জন্য পত্রিকা দেয়া বন্ধ রাখতে বলেছে।
চাঁদপুর জেলায় পত্রিকা এজেন্ট গুলো হলো- পাটোয়ারী নিউজ এজেন্সি, হাজীগঞ্জ প্রভাতী নিউজ এজেন্সি, বাংলাদেশ পেপার হাউজ, শাহরাস্তি উপজেলার কালিয়াপাড়া মোজাম্মেল হক ও দোয়াভাঙ্গার কাজী হুমায়ুনের পেপার হাউজ, কচুয়ায় শ্যামল কান্তি ধরের পেপার হাউজ, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় দুটি পেপার হাউজ এবং ফরিদগঞ্জ তাজুল ইসলামের পেপার হাউজ।
হাজীগঞ্জ প্রভাতী পেপার হাউজের স্বত্বাধিকারী শাখাওয়াত হোসেন শামীম বলেন, গত তিন দিন ধরে মাসিক গ্রাহক পত্রিকা রাখছে না। বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলায় দৈনিক দুই থেকে আড়াই হাজার পত্রিকা পাঠক ছিল। এখন ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।
পাটোয়ারী নিউজ এজেন্সির পরিচালক জসিম মেহেদী বলেন, করোনার প্রভাবে শতাধিক মাসিক গ্রাহক হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া লঞ্চেও পাঠক পত্রিকা পড়ছে না। মার্চ মাসে আমাদের প্রিন্ট পত্রিকা গুলো ব্যবসায়িক ভাবে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। চাঁদপুর শহরে প্রায় চার হাজারের উপরে প্রিন্ট পত্রিকার গ্রাহক রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আনিসুর রহমান সুজন বলেন, উপজেলার একমাত্র তাজুল ইসলামের পেপার হাউজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা পত্রিকা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে প্রায় এক হাজার পাঠক রয়েছে।
উল্লেখ, চাঁদপুর নয়টি পেপার এজেন্সির মধ্যে প্রিন্ট মিডিয়ার প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার পাঠক রয়েছে।
স্পেশাল করেসপন্ডেট,২৩ মার্চ ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur