করোনাভাইরাসে পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এখন শুধু ঢাকা মহানগরে পুলিশেরই (ডিএমপি) ৭৩ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনজন পুলিশে কাজ করা সাধারণ কর্মচারীও রয়েছেন।
ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন এডিসি, তিনজন এসআই, একজন সার্জেন্ট, পাঁচজন এএসআই, তিনজন সাধারণ সদস্য ও বাকিরা কনস্টেবল। বেশির ভাগ আক্রান্ত পুলিশ সদস্যই পুরোনো দাঙ্গা দমন বিভাগ, যা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট যা পিওএম নামে পরিচিত বিভাগের। এই বিভাগের উত্তর শাখার ১৪ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। পিওএস পূর্ব শাখায় আক্রান্ত ৬ জন। এরপর রয়েছে পুলিশের কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগ। এই বিভাগের ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পশ্চিম ট্রাফিক বিভাগেও ৯ জন আক্রান্ত।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মহানগর পুলিশের আটটি অপরাধ বিভাগ ছাড়াও পরিবহন, প্রটেকশন, উন্নয়ন, গোয়েন্দা, স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপসহ ২১টি বিভাগের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। এ ছাড়া রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটানো, শ্রমজীবী মানুষকে সহায়তা করা, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া এবং কোয়ারেন্টিন থেকে পালানো ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার কাজ করছেন তাঁরা। পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষাসামগ্রী না থাকায় দায়িত্ব পালনের সময় ‘অসাবধানতাবশত’ সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে এসে তাঁদের মধ্যে এই সংক্রমণ ঘটছে।
ঢাকা মহানগর কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের যে সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা সবাই বাইরে দায়িত্ব পালনে গিয়েছিলেন। অসাবধানতাবশত মানুষের কাছাকাছি চলে যাওয়ায় তাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন বলে তাঁরা মনে করছেন। দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষায় প্রথম থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো এখন আরও জোরদার করা হচ্ছে। সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে, এমন পুলিশ সদস্যদের আলাদা করে ফেলা হচ্ছে। তাঁদের জন্য ডেমরার অস্থায়ী পুলিশ লাইনসে ১০০টি বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজারবাগ মেহমানখানা এবং মিরপুর মেহমানখানায়ও কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। (প্রথম আলো)
বার্তা কক্ষ, ২১ এপ্রিল ২০২০