করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে থেকে কাজ করছে বলে জানিয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন,‘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা যে যার অবস্থান থেকে যা যা করণীয় করছি। আমাদের মেম্বর, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, মেয়ররা সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে আছে। আমরা সকলে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি বলে বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনার সংক্রমণ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আছে।’
বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জীবাণুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। সকাল সাড়ে ১১ টায় মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশের প্রধান সড়ক থেকে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ শুরু হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম,প্যানেল মেয়র মো.জামাল মোস্তফাসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে প্রবাসীরা ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন । এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামে গেছে এই মুহূর্তে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন,‘ ইনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ডে, পৌরসভায়, সিটি করপোরেশনে আমাদের কমিটি গঠন করা আছে। তারা কাজ করছে। প্রবাসীদের কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে তারা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় কাজ করছে ।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলেও এখন মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, আবার প্রবাসীরাও বুঝতে সক্ষম হয়েছেন আর গ্রামবাসীও অবগত হয়েছেন। তাই আগের চেয়ে এখন বেশি কার্যকর হয়েছে।’
এ সময়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নবনির্বাচিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এবার তৎপর আছি, আমাদের ওষুধের সমস্যা নেই, জনবলের সমস্যা নেই। প্রয়োজন মনিটরিং।
মশকনিধন কর্মীদের সকাল ৮ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ওষুধ ছিটানোর কথা, সেই কাজ অনেক জায়গাতেই হচ্ছে না। এজন্য কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দিয়েছি। পাশাপাশি প্রতিটি এলাকার সাধারণ জনগণকে বলব আপনার মনিটরিং করুন,আমাদেরকে জানান।
ঢাকা ব্যুরো চীফ , ২৭ মার্চ ২০২০