করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন ও নারী ১৯ জন। মৃত ৩৬ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচজন মারা যান। এছাড়া মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় একজনকে। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ হাজার ৪৬১ জন।
একই সময়ে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জনে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৩১ জনের মৃত্যু ও নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১৩ হাজার ১৫৪ জন। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৬৭টি ল্যাবরেটরিতে ৪৪ হাজার ৩০৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ৪৪ হাজার ৪৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট ১ কোটি ২৫ লাখ ৬৮ হাজার ২২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন চার হাজার ২০৩ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৭ জন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ছয়জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, বরিশালে তিনজন। এছাড়া ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। তবে রংপুর ও খুলনা বিভাগে এসময়ে কেউ মারা যাননি।
বয়স অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন, ষাটোর্ধ্ব ৯ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৯ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী চারজন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।