প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে আরও আট হাজার ৫৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৮৬ হাজার ১১৩ জন। সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ১৮ হাজার ৫৫৬ জন।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ১১৪ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৯ লাখ ৫৩ হাজার ৩২৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ কোটি আট লাখ ৫৪ হাজার ৬৫৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ২৮৩ জন। মারা গেছেন এক হাজার ৫৫২ জন।
দেশটিতে এ পর্যন্ত চার কোটি ৬২ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৬০ লাখ ২৮১ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৩১ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ৬৬৬ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৪১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৫৩ হাজার ৭৪২ জন।
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ৮৪৩ জনে। এরমধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ পাঁচ হাজার ২১১ জন। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন দুই কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ৮৪৩ জন।
এ তালিকায় পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৯ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৮০৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়।
এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।
এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।