চাঁদপুরে করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৬০ হাজার ৩৯০ জন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪৬ হাজার ২৬৯ জন। টিকা স্বল্পতার কারণে এখনো ১৪ হাজার ১২১ জন দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা.মো.শাখাওয়াত উল্লাহ।
তিনি জানান,চাঁদপুর জেলা করোনা সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণ জেলার আওতায় ছিল। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। চাঁদপুরে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২ হাজার ১৬৯ জন,হাইমচরে ২৩৭ জন,মতলব উত্তরে ২৯০ জন, মতলব দক্ষিণে ৪১৮ জন,ফরিদগঞ্জে ৫১৩ জন, হাজীগঞ্জে ৪৬৮ জন,কচুয়ায় ১৬৯ জন এবং শাহরাস্তিতে ৪১৪ জন আক্রান্ত হয়।
সিভিল সার্জন জানান,এ পর্যন্ত চাঁদপুরে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৩২৫ জন রোগী ভর্তি হয়ে ৩ হাজার ৩০৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ ছাড়া জেলায় মোট ৪ হাজার ৩৩৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে ১২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনো ২২০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ডা.শাখাওয়াত উল্লাহ জানান,চাঁদপুরে ৬০ হাজার ৩৯০ জন করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪৬ হাজার ২৬৯ জন। ভ্যাকসিন স্বল্পতার কারণে এখনো ১৪ হাজার ১২১ জন দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছে না। আমরা খুব দ্রুত বাকিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও জানান,করোনার চিকিৎসাসেবায় ইতোমধ্যে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শেষ হবে।
এ ছাড়া তিনটি আইসিইউ বেড বরাদ্দ পেয়েছি। আইসিইউ রুমসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে এখনো এর কার্যক্রম শুরু হয়নি। আশা করি এটিও দ্রুত চালু হবে।
তিনি বলেন, `করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। অফিস-আদালতসহ সকল দফতরে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া যারা সড়কে বের হন তাদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। যতটুকু সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে চলাফেরা করতে হবে।’
বার্তা কক্ষ , ৩১ মে ২০২১