করোনার নতুন ধরন, মাস্ক পরা ও স্ক্রিনিং প্রস্তুতির পরামর্শ

দুনিয়া কাঁপানো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ ঠেকাতে এবার মাস্ক পরাসহ জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।

যদিও নতুন এই ধরনটি বাংলাদেশে এখনও শনাক্ত হয়নি। তবে ভারতসহ বিশ্বের কিছু দেশে এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতামূলক এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংক্রমণ বেড়ে গেলে বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

মঙ্গলবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পরামর্শ তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে এবং নতুন ওই ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে সবার মাস্ক পরাসহ জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

কমিটি  বলেছে, ভবিষ্যতে সংক্রমণ বেড়ে গেলে নমুনা পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসা এবং বিদেশ ফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী কমিটির সদস্য, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বাংলাদেশে কোভিডের ওই ধরনটি ছড়িয়ে না পড়লেও যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। ধরনটি বাংলাদেশে আসবে না ধরে নিয়ে বসে থাকলে হবে না।

তার মতে, এখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ খুব সহজ হয়ে গেছে। যেসব দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রীরা আসছেন। তাদের কারও মধ্যে ভাইরাসের এই ধরনটি থাকলে সেটি বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। আশঙ্কা যে নাই তা বলা যায় না।

তিনি আরও বলেন, নতুন এই ধরন যে বিরাট সমস্যা, সেটি এখনও বলা যাচ্ছে না। কিন্তু শীত মৌসুমে শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়। এ কারণেই সতর্কতা নেওয়া দরকার।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ।

প্রথম শনাক্তের পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা দেশে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৩০০ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে।

টাইমস ডেস্ক/৩ জানুয়ারি ২০২৪

Share