Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / করোনার থাবায় বিপাকে কচুয়ার গরুর খামারীরা
করোনার থাবায় বিপাকে

করোনার থাবায় বিপাকে কচুয়ার গরুর খামারীরা

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশু কোরবানী দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন ধর্মপ্রাণ মসলমানরা। এদিকে ঈদকে সামনে রেখেই পরম যত্নে পশু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন চাঁদপুরের কচুয়ার খামারীরা।

গত বছর পশুর ভাল দাম পেলেও করোনার কারণে এবার কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সঠিক মূল্য না পাওয়া নিয়ে চিন্তায় প্রহর কাটছে খামারীদের। আশঙ্কা রয়েছে লোকসানের। গত বছর এই সময়টাতে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও এবার তাদের দেখা না পাওয়ায় বিরাট লোকসানের শঙ্কায় আছেন তারা। ন্যায্য দাম না পেলে পথে বসতে হবে তাদের। কচুয়ায় মোট দুগ্ধ খামার রয়েছে ১২টি ও গরু মোটাতাজাকরণ খামার রয়েছে ১৫টি।

উপজেলার সর্ববৃহৎ গরুর খামারি কচুয়ার পালাখাল, গুলবাহার, সাচারসহ বিভিন্ন খামারের বড় আকারের গরু নিয়েও পড়েছেন বিপাকে। এখন পর্যন্ত ক্রেতার দেখা না পাওয়ায় আশঙ্কা করছেন লোকসানের।

কচুয়ার কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর দু-একটি করে গরু প্রায় প্রতিটি পরিবারেই লালন পালন করে থাকে। এবছরেও কচুয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫০ হাজার খানেক গরু মোটাতাজা করে কোরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য পালন করছে।

খামারের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে গরু মোটাতাজা করতে তারা নির্ঘুম রাত পাড় করছেন। এখন পর্যন্ত কোনও পাইকারের দেখা মিলছে না। খামার মালিকরা যদি গরুর ন্যায্য দাম না পায় তাহলে তাদের শ্রম ও মজুরি পাওয়া নিয়ে সমস্যা হবে। খামারে কাজ করে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসার চলে বলে জানান তারা।

খামারী জীবন সাহা বলেন, ভারত থেকে গরু না আসলে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: নুরুল ইসলাম জানায়, কচুয়ার প্রতিটি গ্রামেই কৃষকরা গরু লালন-পালন করে থাকে। এরকম ছোট-বড় খামারি ও এর বাহিরে অসংখ্য মানুষের ভবিষ্যতে হানা দিয়েছে করোনার থাবা। তবে ইতিমেধ্য কচুয়ার কয়েকটি খামার পরিদর্শন করেছি এবং খামারীদের পরামর্শ দিয়েছি। তারা জানিয়েছেন পাইকার না আসলে তাদের পথে বসতে হবে।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,১৫ জুলাই ২০২০