বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ থামাতে দেশে দেশে বিভিন্ন সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণা চালাচ্ছে। দিনরাত এক করে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। অনেক ভ্যাকসিনই ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অপেক্ষায়। এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,করোনাভাইরাসের ‘নিরাপদ’ ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেছে।
তারা জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের এ গবেষণায় দেশের ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবক সামিল হয়েছিলেন। চলছে ক্লিনিকাল পরীক্ষা। সেটাও শেষ হয়ে যাবে এ মাসের মধ্যে।
এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলেছে, ওই ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের করোনা ভাইরাসের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর কোনো প্রভাব বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়নি। কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি। ইতিমধ্যেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তাদের দাবি, ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফল দেখে আমরা জোর দিয়ে এটা বলতে পারছি যে, এ ভ্যাকসিনটি নিরাপদ।এ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত জড়িত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই স্বেচ্ছাসেবকরা এখন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে শ্বেতলানা ভোলচিকিনা নামে এক গবেষক দাবি করেছেন, ওই স্বেচ্ছাসেবকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল কাজ করছে। শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। ওরা সকলেই এখন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত।
মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে রাশিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ যখন তুঙ্গে,সেই সময়েই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু জানিয়েছিলেন, দেশের সামরিক গবেষকরা মস্কোর গামেলিয়া ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একযোগে একটি ভ্যাকসিন বানাচ্ছেন। এ কথা সের্গেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানান।
জানা গিয়েছে, মস্কোর বুরকেনদোয় সামরিক হাসপাতালে ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবকদের উপরে নতুন ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন গবেষকরা। এরপর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাদের।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের ২৮ দিন পরে ওই স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ সব লক্ষণই স্বাভাবিক সীমার মধ্যেই ছিল। এর পরে দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের উপরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় গত ২৩ জুন। তারা এখন ওই সামরিক হাসপাতালেই আইসোলেশনে রয়েছেন। পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছেন চিকিৎসক-গবেষকরা। আশা করা হচ্ছে জুলাই মাসের শেষ নাগাদ গোটা ক্লিনিকাল পরীক্ষা পর্ব শেষ হয়ে যাবে।
বার্তা কক্ষ , ১৬ জুলাই ২০২০
এজি