চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলো আরও ১৪৩ জনের নাম। ফলে দেশটির মূল ভূখণ্ডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫২৩ জন।
শনিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, শুক্রবার মৃতদের মধ্যে ১৩৯ জনই ভাইরাসের উৎসস্থল হুবেই প্রদেশের। এর মধ্যে শুধু উহানেই গতকাল প্রাণ হারিয়েছেন ১০৭ জন। এতে এই একটি শহরেই করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১২৩ জন।
শুক্রবার চীনে নতুন করে ২ হাজার ৬৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ফলে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৬৬ হাজার ৪৯২ জন।
চীনের করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় একাধিক মেলা ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্প. জানিয়েছে, তারা সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিতব্য আরিএসএ সাইবার সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশ নেবে না। কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা ভেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। আগামী ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা সান ফ্রান্সিসকোসহ আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনেও অংশ নেবে না। চলতি মাসে স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রদর্শনী ‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস’। কিন্তু করোনাভাইরাস সংকটের কারণে এ বছরের অনুষ্ঠান বাতিল করেছে আয়োজকরা।
এদিকে, বর্ধিত ছুটি কাটিয়ে যারা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ফিরছেন, তাদের ১৪ দিন ‘সেলফ কোয়ারেন্টাইনে’ থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বেইজিং ভাইরাস প্রিভেনশন ওয়ার্কিং গ্রুপের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন বেইজিংয়ে ফিরে আসা সবার ঘরে থাকা উচিত। অথবা ১৪ দিনের জন্য গ্রুপ পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। কেউ এই আদেশ না মানলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছে। জাপানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রমোদতরীতে নতুন করে আরও ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ওই জাহাজটিতে করোনাআক্রান্ত যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে। এ পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন
বার্তা কক্ষ,১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০