চাঁদপুর

করোনাকালে পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা

দেশের করোনা পরিস্থিতিতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পিছিয়ে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা। করোনার প্রথম দিকে লকডাউন থাকা অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কওমী মাদ্রাসা ব্যতীত বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই ঘরবন্দী হয়ে পড়ে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা।

এর ফলে অলসতা সৃষ্টি হয়ে পড়ালেখার প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। চাঁদপুর শহরের অনেক অভিভাবক জানান, করোনার প্রভাবে সরকার ঘোষিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঘরবন্দী থেকে পড়ালেখার প্রতি উৎসাহ হারিয়ে অমনোযোগী হয়ে পড়ছে আমাদের সন্তাররা।

চাঁদপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্কুল খোলার বিষয়ে কোন অনুমোদন দিচ্ছে না। কারণ করোনাকালীন বাড়ির বাইরে বিদ্যালয়ে গিয়ে যদি শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পাকিস্তান, আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশে বিদ্যালয় খোলার পর বেশ কিছু শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলে পুনরায় বিদ্যালয় বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সব অফিস-আদালত আর যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে শুরু হয় ‘লকডাউন’।

টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই থাকে।

এই পরিস্থিতিতে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় এখনো পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

যদিও কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালনা করছেন। কিন্তু করোনার করোনার পার্দুভাবে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে, অমনোযোগী হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,২৬ নভেম্বর ২০২০

Share