করলা আমাদের অতি পরিচিত সবজি।যা আমরা আমাদের প্রত্যাহিত জীবনে খেয়ে থাকি। এতে ক্যালরি কম রয়েছে , তেমনি এতে রয়েছে প্রচুর নিউট্রিয়েন্টস। তাই নিয়মিত করলার রস বা সিদ্ধ খেলে ভিটামিন ১, ২, ৩, সি, ম্যাগনেসিয়াম, ফলেট, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবার শরীরে জমা হবে। করলা থেকে আরও পাওয়া যায় আয়রন, বিটা-ক্যারোটিন, পটাশিয়াম, যা শরীর মজবুত করতে সাহায্য করে। এবার জেনে নেওয়া যাক, করলার উপকারিতা।
রক্তের সমস্যার সমাধান করে : অনেক সময় দূষিত পদার্থ রক্তে জমে গায়ে চুলকানি দেখা দিয়ে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। দুআউন্স করলার রসের সঙ্গে সমপরিমাণ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে টানা ৩ থেকে ৪ মাস খেলে এসব সমস্যা কমে যাবে।
ক্যানসারকোষ নষ্ট হয় : করলার রসে রয়েছে এক ধরনের এনজাইম, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ক্যানসারকোষ ধ্বংস করে এবং নতুন করে এ কোষ তৈরি হতে দেয় না।
কলেরার মহৌষধ : একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে কলেরা ধরা পড়লে দুই চা-চামচ করলাপাতার রসে সঙ্গে সমপরিমাণ সাদা পেঁয়াজের রস ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে। কলেরা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
সুগার কমায় : করলার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ইনসুলিন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এটির নাম হাইপোগ্লাইসেমিক কম্পাউন্ড। এই বিশেষ উপাদানের সাহায্যে করলা ইনসুলিনের মাত্রা না বাড়িয়ে ইউরিন ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে : এই সবজির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখ ভালো রাখে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
গাঁটের ব্যথা দূর করে : করলার রস লিভার পরিষ্কার করে, রক্ত শোধন করে, পাশাপাশি রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে গেঁটেবাতের ব্যথা কমিয়ে দেয়।
পাইলস থেকে মুক্তি : এক গ্লাস দুধে তিন চা-চামচ করলাপাতার রস মিশিয়ে খালি পেটে টানা এক মাস খেলে পাইলস নিরাময়ে উপকার পাওয়া যাবে। জ্বালাপোড়া, ব্যথা কমাতে উচ্ছেগাছের শিকড় বেটে পাইলসে লাগালেও আরাম পাওয়া যায়।
ফুসফুস ভালো রাখে : প্রতিদিন খালিপেটে উচ্ছেরসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু ও পানি মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে।
নিউজ ডেস্ক :
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:২০ এ.এম, ৩০ মে২০১৮,বুধবার
কে.এইচ