কয়লাঘাট এলাকায় শালিশী বৈঠকে মারধর আহত ১০, গ্রেফতার ৩

চাঁদপুর শহরের কয়লা ঘাট এলাকায় বেআইনী জনতাবদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে সাধারণ, গুরুতর কাটা রক্তাক্ত ও ভাঙ্গা জখমসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদানের অপরাধে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫ জনসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

৪ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন তাফাজ্জল বকাউল। যার নং-১৫। এ ঘটনায় প্রায় ১০ জন আহত ও ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

আহতরা হলেনঃ কয়লা ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ নাছির মিয়া (৫২), সোহেল বকাউল (৩০), মিস্ত্রি কালু (৩২), আনোয়ার হোসেন (৪০), সাগর (২৬), তাফাজ্জল বকাউল (৪১)। এছাড়া আরাও কয়েকজন আহত হয়। তারা সকলে গুরুত্বর না হওয়ায় হাসপাতালো প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। আর 

 নাছির মিয়া, সোহেল বকাউল, মিস্ত্রি কালু, আনোয়ার হোসেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

সোমবার চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ মুহসীন আলম আহতদের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে যান এবং ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ আইনী সহায়তার আশ্বাস দেন।

মামলার এজহার ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী এলাকার স্টিল বোট মালিক জনির স্টাফ ও টান্সপোর্ট মালিক শাওনের সাথে ট্রলারের বিষয়ে বাগাদী ইউনিয়নের নানীপুর সিমেন্ট ঘাটে কথাকাটি হয়।

এই বিষয়ে রোববার রাতে তেলের দোকানদার জাহাঙ্গীর চৌকদারের দোকানে শালিশী বৈঠক হয়। শালিশী বৈঠক চলাকালীন সময়ে পূর্ব থেকে পরিকল্পিত স্বপন মাঝি, রিপণ মাঝি, মানিক মাঝি, তকদির মাঝি, শাহিন মাঝি, তানজিল হোসেন, মানিক মাল, লিটন মাল, আরিফ, বিপ্লবসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মামলার বাদী তাফাজ্জল বকাউলের উপর হামলা করে। পরে তাদের লোকজনের দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা, লোহার রড ও ইটের আঘাতে প্রায় ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়। রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে রিপণ মাঝি, শাহিন মাঝি ও তানজিল হোসেনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। 

আহত মোঃ নাছির মিয়া জানান, আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পাশের দোকানে শালিশ বৈঠক হয়। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আশপাশে পাথর কে বা কারা ছুটছে দেখে আমি এগিয়ে যাই। তাদের পাথরের আঘাতে আমার ডান চোখের নিচে ফেটে গেছে ও সেলাই লেগেছে। এছাড়া তাদের অস্ত্রের আঘাতে মাথা ফেটে যায়। আমি নিরাপরাধ। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম জানান, ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Share