চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শোল্লা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমির প্রায় ছয় হাজার মেহগনিগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় শোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষ মো. আরিফুর রহমানকে গ্রেফপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সাত দিন পর শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেফপ্তার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, গত ২৩ মার্চ শোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পাউবোর ৮১ শতাংশ জমির প্রায় ছয় হাজার মেহগনিগাছ কাটার ঘটনায় পরদিন ২৪ মার্চ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে পাউবো। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে নিশ্চিত হন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে এসব গাছ কাটা হয়। এ জন্য তাঁকে গ্রেফপ্তার করে আজ শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শোল্লা গ্রামের মৃত এমদাদুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মো. নাছিরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপর পওর বিভাগ থেকে ২০১২ সালের ১২ এপ্রিল ৮১ শতাংশ ভূমি ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বনায়নের শর্তে লীজ গ্রহণ করে। লীজের শর্তানুযায়ী স্থানীয় ভূমিহীন ও বনায়নে আগ্রহী ব্যাক্তিদের নিয়ে ১৫ সদস্য কমিটি করে বনায়ন করেন। কিন্তু এক সময় তিনি বনায়নের উদ্দেশ্যে পরিবর্তন করে ওই ভূমি বিদ্যালয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য মতামত প্রকাশ করেন। এতে করে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা এর বিরোধিতা করেন।
সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের লীজ গ্রহিতা ও বনায়ন কমিটির সভাপতি নাছিরুল ইসলাম চৌধুরী এলোমেলো কথা বলার কারণে এবং কমিটির সভায় উপস্থিত না থাকায় অন্যান্য সদস্যরা সভা করে তাকে কমিটি থেকে অব্যাহতি প্রদান করে। নিয়মানুযায়ী নতুন কমিটির রেজুলেশন কপি পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কার্যালয়ে জমা দিয়ে রিসিভ কপি গ্রহণ করে। এরপরই নাছিরুল ইসলাম মূল্যবান এসব গাছ বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী, কয়েকজন শিক্ষক ও বহিরগাত শতাধিক লোক নিয়ে কেটে ফেলে।
ঘটনার পরের দিন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, ‘বনায়ন কমিটিতে নাছিরুল ইসলাম চৌধুরীর না থাকলেও তার নামেই লীজ। তার নির্দেশেই আমরা গাছ কর্তন করেছি। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলা-ধুলার করার জন্য লীজকৃত ভূমি পরিস্কার করার জন্য বলেছেন। তিনি আমাদের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এই বিষয়ে তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেই গাছ কর্তন করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শোল্লা গ্রামে শোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের পিছনে স্থানীয়দের ৮১ শতাংশ বনায়নের প্রায় ৬ হাজার মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদনটি নিচের শিরোনামে ক্লিক/টাচ্ করে পড়ুন-
কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব : ফরিদগঞ্জে ৬ হাজার গাছের চারা কর্তন
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২: ৫০ পিএম, ১ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur