কচুয়া সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক ভেঙ্গে পড়ার আংশকা

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৩নং বিতারা ইউনিয়নের সরাইলকান্দি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনটি নিচের পিলারগুলো বেহাল অবস্থা হওয়ার কারণে ভেঙ্গে পড়ার আংশক রয়েছে। ভবনের নিচের পিলার গুলো ঝুঁকিপূর্ন থাকায় যেকোনো মুর্হুতে ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্লিনিকের সামনের সিড়ি থাকলেও দুপাশে কোনো রেলিং না থাকায় কয়েকজন পড়ে আহত হয়েছে। বিগত করোনার সময়ে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী তরিগড়ি করতে গিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কোনো সু-দৃষ্টি নেই। বর্তমানে ওই ক্লিনিকে প্রতিদিন ৫০-৬০জন রোগী আসেন। বিশেষ করে গর্ভবর্তী,বৃদ্ধ নারী ও বয়স্ক রোগীরা সেবা নিতে আসলেও ভেঙ্গে পড়ার আংশকা থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সেবা নিচ্ছেন তারা।

ক্লিনিক ভবনটির নিচের পিলার ও সামনের সিড়ি ঝুকিপূর্ন থাকায় ব্যবহার অনুপযোগী জেনেও নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) বাধঁন বসু। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি যে কোন মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা স্থানীয়রা। তারা বলছেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনটি ঝুকিপূর্ন। সিড়ির নিচে কোনো মাটি না থাকায় জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। ফলে ভবনটি ভেঙে ফেলে এর স্থলে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উত্তরশিবপুর-নিন্দপুর সড়কের সরাইলকান্দি গ্রামে এই ক্লিনিক ভবনটির নিচের পিলার দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে এবং সামনের সিড়ির নেই কোনো রেলিং। একটু সামান্য বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের সামনের সিড়ি দিয়ে প্রবেশ করা খুবই ঝুঁকিপূন। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনটিতে নারী-শিশুদের বিভিন্ন টিকা প্রদান করেন। নিয়মিত সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন (সিএইচসিপি) বাধঁন বসু। তার চিকিৎসা সেবা পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী তার প্রতি আস্থা অর্জন করেছে। বর্তমানে তিনি ওই ক্লিনিকে নিয়মিত গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবাদানের লক্ষে সাধারন মানুষের সেবা দিয়ে আসছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ঝুকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল।

চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী জানান, সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে ভবনের সামনে অংশে খুবই ঝুকিপূর্ন। আমরা কয়েকবার পড়ে গিয়ে গুরতর আহত হয়েছি। তাই দ্রুত ওই ক্লিনিকের নিচের পিলার সংস্কার ও সামনের অংশ দ্রুত মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।

এব্যাপারে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাসের ব্যবহৃতে মোবাইল বারবার চেষ্টা করা হলেও এ বিষয়ে বক্তব্য জানা যায়নি।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১২ অক্টোবর ২০২৩

Share