Home / সারাদেশ / কমছে মুরগির দাম, ডিমে আগুন
মুরগির
ফাইল ছবি

কমছে মুরগির দাম, ডিমে আগুন

রমজান শুরুর আগ মুহূর্তে ব্রয়লার মুরগির বাজারে আগুন লাগলেও স্বস্তি ফিরতে বেশি সময় লাগেনি। গত এক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে ব্রয়লারের দাম। গত তিনদিনে এ দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। তবে এর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে ডিমের দামে। বাজারে গত তিনদিনে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে ডিমের হালি এখন ৪৭-৪৮ টাকা। কোথাওবা ৫০ টাকাও রাখা হচ্ছে।

একই দিন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা রোজা শুরুর আগের দিন ৩০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করছিল। পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি নির্ধারণের পরই বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমতে শুরু করে।

তবে মুরগির দাম কমা আর ডিমের দাম বাড়ার মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সরকার মুরগির দাম নির্ধারিত করে দিয়েছে। ফলে এর থেকে বেশি বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে ডিমের কোনো নির্ধারিত দাম নেই। সরবরাহ সংকটের কারণে দাম বাড়ছে।

বাজার কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা এনামুল বলেন, সারাদেশে বৃষ্টির কারণে ডিমের সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে তিনদিন ধরে দাম ঊর্ধ্বমুখী।

একই বাজারের ডিম বিক্রেতা কালাম বলেন, ডিমের দাম এই বাড়ে তো এই কমে। আগে ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি করেছি। এরপর হলো ১৩৫ টাকা। পরে তা কমে আবার ১৩০ টাকায় নামে। এখন আড়তে ডিমের দাম বাড়ছে। বাজারে ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। ১৪০ টাকার কমে বিক্রি করা যাচ্ছে না।

কারওয়ান বাজারের আরেক ডিম ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, হুট করে ডিমের দাম বেড়ে গেল। তিনদিন ধরে এ দামবৃদ্ধি। আজকে এক রকম তো কাল অন্যরকম। প্রতিদিন ডজনে ৫ টাকা করে বাড়তি কিনতে হচ্ছে। কোম্পানিগুলোর উচিত ব্রয়লার মুরগির মতো ডিমের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া।

ওই বাজারের ডিম ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, রোজায় ডিমের বাড়তি চাহিদা থাকে না। তবে বাজারে মাছ-মাংসের দাম খুব বেশি হওয়ার কারণে ডিমের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। মানুষ ডিম খাচ্ছে।

অন্যদিকে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান থেকে ডিম কিনতে আরও কয়েক টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে। খুচরা দোকানে ডিমের হালি ৪৭-৪৮ টাকা, কোথাওবা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ফার্মের মুরগির সাদা ডিম একটু কমে, প্রতি হালির দাম রাখা হচ্ছে ৪৫ টাকা। অন্যদিকে বাজারভেদে হাঁসের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় খামারিদের সংগঠন পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদারের বলেন, মুরগির দাম নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়েছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এই সুযোগে ডিমের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করা হচ্ছে।

টাইমস ডেস্ক/ ২৬ মার্চ ২০২৩