গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটা ঘুরে গেলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
১৯ মার্চ শনিবার দুপুরে ডা. দীপু মনি উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে কবি সুকান্তের পৈতৃক ভিটা ঘুরে দেখেন। এখানে তিনি কবি সুকান্ত লাইব্রেরি ও মুজিব কর্নারে কিছু সময় কাটান।
শিক্ষামন্ত্রী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটায় এসে পৌঁছালে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস ওয়াহিদ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
তার আগে ডা. দীপু মনি ঢাকা থেকে বিমানে বরিশাল এসে পৌঁছান। বরিশাল থেকে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে কবি সুকান্তের পৈতৃক ভিটা ঘুরে দেখেন তিনি।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে শিক্ষামন্ত্রী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, বরিশাল থেকে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ালাম কবি সুকান্তের পৈতৃক ভিটায়। মূল ভিটির কোনো চিহ্ন নেই, শুধু সে জমির ওপর নির্মিত হয়েছে একটি পাঠাগার। সামনে আছে কবির একটি ভাস্কর্য। পাঠাগারের ভেতরে কবির বাড়ি থেকে সংগৃহীত কিছু দ্রব্য দেখার জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। জানতে পারলাম সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র তারাপদ চক্রবর্তীর বাড়িটিও আর নেই। সে জায়গায় এখন কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়।
১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কলকাতার কালীঘাটের মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তবে কবির পৈতৃক বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে। বাবার নাম নিবারণ ভট্টাচার্য। মা সুনীতি দেবী। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে মারা যান কবি। ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূবার্ভাস, অভিযান, হরতাল- তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।