ফরিদগঞ্জে কবরের স্থানের দেওয়াল নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষ : আহত ১৫

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে জোরপূর্বক কবর স্থানের দেওয়াল নির্মাণ নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের নারী পুরুষসহ অন্ততপক্ষে ১৫ জন গুরুতরভাবে জখমপ্রাপ্ত হয়েছে।

গুরুতর জখমপ্রাপ্তদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও কুমিল্লা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ৯৯৯ এর ফোনে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষের লোকজনকে দাওয়া দিলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

২৯ অক্টোবর শনিবার সকালে উপজেলার ৩ নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাসারা ঠাকুর বাড়ীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে সিরাজ মিয়া গংদের আহতরা হলেন, জাহানারা বেগম, আমিন মিয়া, মমিন মিয়া, রুবেল হোসেন ও খুকি বেগমকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রতিপক্ষ একই বাড়ীর মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম গংদের আহতরা হলেন, নাজমূল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, আবু জাফর, মহসিন ও আবুল কালাম। তাদের কেউ হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ এবং দুইজনকে কুমিল্লা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানাযায়।

সিরাজ মিয়া গং বলেন, আমরা তাদের আগে এ ঠাকুর বাড়ীতে এসেছি। কবরের স্থানের দুইদাগে ১৬ শতাংশ জায়গা নিয়ে আমরা কোর্টে রেকর্ড সংশোধনী মামলা চলমান। এরই মধ্যে আদালতের নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ আবুল কালাম গংরা ভাড়াটিয়া লোকজন এনে জোরপূর্বক আমাদের পুরাতন দেওয়াল ভেঙ্গে সেখানে নতুন ইটের দেওয়াল তৈরি করায় আমরা বাঁধা দেই। তাদের অতর্কিত হামলায় আমাদের পরিবারের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

প্রতিপক্ষ আবুল কালাম বলেন, আমরা পূর্বের মামলায় রায় পেয়ে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু তারা ফনিসাইর এলাকা থেকে ভাড়াটিয়া লোকজন এনে পুলিশ খবর দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের একাধিক লোককে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন ও ওবায়েদ উল্লাহ নয়ন বলেন, জরুরী কলের অভিযোগে ও পরবর্তীতে মারামারির খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের দুইটি টিম সকাল থেকে এখানে অবস্থান করে। এসে দেখি এ বাড়ীর সিরাজ গং ও আবুল কালাম গংদের আলাদা আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। তার পরেও একটি পক্ষ কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষের বাঁধা থেকে এ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, জহিরুল ইসলাম জয়, ২৯ অক্টোবর ২০২২

Share