৩ এপ্রিল ২০২৫ কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন মনপাল গ্রামে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ১০ এপ্রিল রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২,কুমিল্লার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন নোয়াখালী রোড দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন মনপাল গ্রামে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেনকে হত্যা চেষ্টার আলোচিত মামলার অন্যতম আসামি মো.ইকবাল হোসেন উজ্জ্বল (৩৩) কে গ্রেফতার করে।
মাহমুদুল হাসান, লে. কমান্ডার, কোম্পানী অধনিায়ক, র্যাব-১১,সপিসি-ি২, কুমল্লিা এর ১১ এপ্রিল পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে ।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এমরান হোসেন বেশ কিছুদিন পূর্বে মনপাল গ্রামের বেলাল মেম্বারের বাড়ির পাশে একটি ব্যানার টানায়। তার কয়েকদিন পরে শিশুদের খেলার সময় ব্যানারটি ছিড়ে যায় এবং ঐ দিন সন্ধ্যায় এমরান হোসেন ব্যানার ছেড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে গালমন্দ করে।
পরবর্তীতে ৩ এপ্রিল ২০২৫ রাতে এমরান হোসেনসহ ২০/২৫ জন ভিকটিম সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির সামনে হইচই করতে থাকে এবং একই সময় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা ভিকটিম সাদ্দাম হোসেন মোবাইলের ফ্লাশ লাইটের আলো জালিয়ে ঘরে ফিরছিল। বাড়ির সামনে হইচই দেখে সাদ্দাম সেখানে উপস্থিত লোকজনকে সোরগোলের কারণ জিজ্ঞাসা করলে এমরান উত্তেজিত হয়ে ভিকটিম সাদ্দাম হোসেনকে মোবাইলের ফ্লাশলাইটের আলো বন্ধ করতে বলে এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরবর্তীতে ভিকটিম তাদেরকে হইচই করতে নিষেধ করে ঘরে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা এমরান দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ভিকটিম সাদ্দামের বাড়িতে হামলা চালায় এবং সাদ্দাম সহ তার পরিবারের লোকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় সাদ্দামকে উদ্ধার করে প্রথমে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে অবস্থা আংশকাজনক হওয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে লাকসাম থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী মো. ইকবাল হোসেন উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১, ৫ আগস্ট ২০২৩ হতে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ৫৭ জনগ্রেফতার, আরসা সদস্য-১৫ জন গ্রেফতার,হত্যা মামলায় ৭৯ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৪১ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ৮ জন গ্রেফতারসহ ৮০টি অস্ত্র,১ হাজার ২ শ ৭৩ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ২শ ৩৩ জন এর অধিক মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে র্যাব-১১। পাশাপাশি ৩৯ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ২৮ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৫০ জন,জেল পলাতক ৩৩ জনসহ অন্যান্য অপরাধী ২শ ৪৮জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রেস রিলিজ
১১ এপ্রিল ২০২৫
এজি