দীর্ঘদিন পর কঠোর লকডাউন দেখল চাঁদপুরবাসী

করোনা নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। চাঁদপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির ৪টি টিম লকডাউন কার্যকরে মাঠে টহল দিচ্ছে। সকাল থেকে পুলিশ, সেনাবাহিনী বিজিবি ও আনসার বাহিনী পুরো শহর জুড়ে কঠোরভাবে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

এদিকে সড়কজুড়ে রিকশা ছাড়া অন্যকোন যানবাহন চলাচল করেনি। তবে অনেকেই বিধিনিষেধের বিষয়টি অবগত না হওয়ার কারণে অন্যান্য দিনের ন্যায় প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়ে পড়েন। কেউ রিকশায়, আবার অনেকে হেটেই শহর পদক্ষিন করেছেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরে মানুষের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের কালীবাড়ি শপত চত্ত্বর, ইলিশ চত্ত্বর, পালবাজার গেট, কোর্ট স্টেশন, নতুন বাজার মোড়, মিশন রোড মোড় এলাকায় গিয়ে পুলিশকে কাজ করতে দেখা গেছে।

শহরের কালীবাড়ি এলাকার রিকশাচালক নজরুল ইসলাস বলেন, চাঁদপুর শহর পুরা খালি। রিকশা ছাড়া অন্যকোন যানবাহন নেই। এখন রিকশার চাহিদা অনেক বেশি। এই সময় ভাড়া একটু বেশি হবেই।

যাত্রী খোকন বলে, বাসস্ট্যান্ড থেকে কালীবাড়ি আসতে লাগে ৫ টাকা। এখন রিকশায় নিচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। ভাড়া বেশি হলেও যেতে হবেই। তারপরও রিকাশা চালকদের একটি সচেতন হয়ে ভাড়া কমানো উচিত।

ট্রাফিক পুলিশের টিআই জহিরুল ইসলাম বলেন, শহরের ৪ টি স্থানে আমাদের টিম রয়েছে। গত ৩ দিনে ২৭৮ টি অটোরিকশা-সিএনজি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া কঠোর লকডাউনের প্রথমদিন দৃপুর ১ টা পর্যন্ত ২০-২৫ টি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায় বলেন, সরকার লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা সকাল থেকে মাঠে কাজ করছি। রিকশা ছাড়া অন্য যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না।
সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অসিম চন্দ্র বণিক বলেন, লকডাউনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে শহরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিধি-নিষেধের সময় বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। আমরা শুধু শুধু কঠোর হতে চাই না। তাই সকলকে বিধিনিষেধ মেনে চলার আহবান জানাই।

প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম,১ জুলাই ২০২১

Share