কচুয়া

কচুয়া-হাজীগঞ্জ-গৌরিপুর ১৮ কি.মি. জুড়ে বেহাল দশা

চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় কচুয়া-হাজীগঞ্জ-গৌরিপুর ভায়া ঢাকা সড়কে ৩২ কি.মি রাস্তার চাঁদপুর অংশে ১৮কি.মি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল রয়েছে।

কচুয়ার ঘাগড়া থেকে পৌরসভার বিশ্বরোড হয়ে হাজীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় রাস্তাটির অনেক জায়গায় পিছ ঢালাই, পাথর ও খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গাচোরা সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিকল হচ্ছে যানবাহন। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।

সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নোয়াখালী, লক্ষীপুর, রামগঞ্জ, রায়পুর, হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, চাঁদপুর, কচুয়ায় বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী সাধারণ চলাচল করা ছাড়াও পন্য, মালামাল আনা নেয়া করে থাকে। এ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এখন যাত্রী সাধারণ বহনকারী যানবাহন ছাড়াও প্রায় মালবাহী ট্রাক, সিএনজি, রিক্সা ও অটোরিক্সা গর্তে পড়ে উল্টে গিয়ে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে এবং একবার এ রাস্তা দিয়ে যারা আসেন পুনরায় আর কেউ এ সড়কে যেতে চায়না। তাছাড়া ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ায় ও ধুলাবালীতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।

বুধবার (১৪ মার্চ) দেখা যায়, কচুয়ার ঘাগড়া, বাঁচাইয়া, আকানিয়া, কচুয়া বিশ্বরোড, ডুমুরিয়া-কালচোঁ পর্যন্ত রাস্তায় ছোট বড় অসংখ্য গর্ত দেখা দিয়েছে।

বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় ডুমুরিয়া থেকে ঘাগড়া পর্যন্ত বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আকানিয়া গ্রামের অধিবাসী মোঃ সেলিম মিয়াজী জানান, কচুয়া-সাচার, হাজীগঞ্জ সড়কে অনেক কষ্টে আমাদের চলাচল করতে হয়।

দীর্ঘদিন যাবত রাস্তার এ বেহাল দশা। কচুয়া ঢাকা সড়কের সুরমা বাস চালক মোঃ মোহন মিয়া জানান, ঢাকা থেকে কচুয়া যেতে সময় লাগে আড়াই ঘন্টা, কিন্তু কচুয়া থেকে গৌরিপুর পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা।

সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত থাকায় স্প্রিং ভেঙ্গে এবং চাকা ফেটে যায়। গর্তের কারণে ঢাকা কচুয়ায় যাতায়াতের পর জাকুনিতে শরীর প্রায় সময় খারাপ থাকে। আমরা রাস্তাটি দ্রæত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহবান জানাই।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের চাঁদপুর নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ্রত দত্ত জানান, হাজীগঞ্জ হতে কচুয়ার বারৈয়ারা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রাস্তার ১৪ কিলোমিটার ইতোমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। বাকী ১৮ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করার জন্য ৭৮ কোটি ২ লক্ষ টাকা প্রাক্কলন একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু

Share