চাঁদপুর কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। ওই বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মো.এমদাদ উল্যা বিরুদ্ধে প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য এ অভিযোগ উঠে।
জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর ওই বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার ৫ম দিন রোববার ৭ম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় ওই বিষয়ের শিক্ষক এমদাদ উল্যা তার প্রাইভেটের শিক্ষার্থীকে হুবহু প্রশ্ন পত্র গাইডে দাগিয়ে দেয়। রাতেই ওই দাগানো প্রশ্নপত্র একই শ্রেণির বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে ইমো ও ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে চালাচালি হয়।
এক অভিভাবক বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিকদের অবহিত করলে পরদিন রবিবার কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাকিবুল হাসান ও যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে যায়।
সাংবাদিকরা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.কলিম উল্যাহকে অবহিত করলে তিনি তার কাছে থাকা ৭ম শ্রেণির প্রশ্নপত্রের যাছাই করলে তা হুবহু মিলে যায়। এদিকে কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি শিক্ষা বর্ষের বার্ষিক পরীক্ষার প্রতিদিন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনার অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন অভিভাবক মহল।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক এমদাদ উল্যা পরীক্ষার প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের আগের দিন ফাঁস দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কলিম উল্যাহ বলেন-প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি অবহিত হওয়া মাত্রই পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের নিয়ে জরুরী মিটিং করে ওই বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত রাখি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বলেন, সাংবাকিদের মাধ্যমে কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি অবহিত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু, ০১ রোববার ২০১৯