Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া সদর ইউপিতে একক মনোনয়ন প্রত্যাশী জোবায়ের
কচুয়া সদর ইউপিতে একক মনোনয়ন প্রত্যাশী জোবায়ের

কচুয়া সদর ইউপিতে একক মনোনয়ন প্রত্যাশী জোবায়ের

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কচুয়া পৌর এলাকা সংলগ্ন সদর ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে পরিচিত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো: জোবায়ের হোসেন। তিনি ওই ইউনিয়নের তুলপাই গ্রামের অধিবাসী, বিশিষ্ট সমাজসেবক মো: সফিউল্লার ছেলে।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের একক মনোনয়ন প্রত্যাশী, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, সাবেক সদস্য, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও তরুণ ব্যবসায়ী জোবায়ের হোসেন ওই ইউনিয়নের সবক’টি গ্রামে গত কয়েক মাস ধরে টানা গনসংযোগ ও প্রচার-প্রচারনা করে যাচ্ছেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ডিজিটাল পোস্টার, ব্যানার সাটিয়ে ও ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়ী বাড়ী গিয়ে দিন-রাত ভোটার ও সমর্থনদের কাছে নিজের প্রার্থীতার কথা জানান দিয়ে, দোয়া ও সমর্থন কামনা করছেন এবং নির্বাচিত হলে ইউনিয়নবাসীর কল্যাণে, সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের ভাগ্য উন্নয়নে কী কী করবেন তার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন ভোটার ও কর্মী সমর্থকদের মাঝে।

তার এ প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া জেগেছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। সব মিলিয়ে প্রচার প্রচারণায় অন্যান্য প্রাথীর চেয়ে মেধাবী ছাত্রলীগ নেতা মো: জোবায়ের হোসেন অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে- ছাত্রলীগ নেতা ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: জোবায়ের হোসেন খোলামেলা আলাপকালে জানান- ইউনিয়নবাসীকে ঘিরে তার দীর্ঘদিনের স্বপ্নের কথা।

চাঁদপুর টাইমস-এর সাথে এক প্রতিক্রিয়ায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী, মো: জোবায়ের হোসেন বলেন- বিগত দিনে ১৯৯৭ সাল থেকে ওয়ার্ড ছাত্র লীগের সভাপতি হিসেবে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। রাজনীতি, সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়ে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। বিশেষ করে গরীব অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। এদের অনেকেই বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত রয়েছে।

এছাড়া ছাত্র লীগের রাজনীতি দায়িত্ব পালনকালে গত ১৮ বছরে প্রায় দুই শতাধীক ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মী সৃষ্টি করেছি। ফলে সাধারণ মানুষ আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে ও পছন্দ করে। তাদের ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ইউনিয়নকে সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত করে একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তর করতে চাই। তিনি আরো বলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রত্যাশিত সেবা পায়নি বলে আমি মনে করি।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে গ্রামভিত্তিক সকল সমস্যা সমাধান, সমপরিমান উন্নয়ন, ভাতা ও অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবো।

আমার বিশ্বাস বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার ফলে, আওয়ামী পরিবারের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে দল আমার প্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তৃণমূল নেতাকর্মী আমাকে মূল্যায়ন ও সম্মানীত ইউনিয়নবাসী আমাকে সমর্থন দিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমার প্রিয় নেতা সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জননেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে এ ইউনিয়নকে দেশের একটি অন্যতম মডেল ও সমৃদ্ধশালী ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো।