কচুয়া রহিমানগর-ভাতেশ্বর রাস্তার বেহাল দশা

কচুয়া উপজেলার রহিমানগর-ভাতেশ্বর রাস্তার বেহাল দশা পরিনত হয়েছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘের এ রাস্তাটি কচুয়া ও বরুড়া উপজেলার সংযোগকারী রাস্তা হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কচুয়া উপজেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশের অধিবাসীরা ছাড়াও বরুড়া উপজেলার পশ্চিমাংশের লোকজন এ রাস্তা ধরেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। প্রতিদিন এ রাস্তায় চলাচল করছে শতশত সিএনজি, রিক্সা, অটোরিক্সা, ট্রাক, ও মোটরকারসহ বিভিন্ন যানবাহন।

এ ব্যস্ততম রাস্তার মাত্র দুই বছর পূর্বে মেরামত কাজ করা হয়। রাস্তাটি মেরামতের কয়েক মাস যেতে না যেতেই বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি শুরু হয়। বিশেষ করে রহিমানগর হতে খিলা গ্রামের পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত (হাবিব মিয়ার দোকান পর্যন্ত) ১ কিলোমিটার রাস্তা অংশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ভগ্নদশার রাস্তার এ অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে সম্পূর্ন দূর্ঘটনার ঝঁুকি নিয়ে। প্রতিদিনই গর্তময় রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে যাত্রী সাধারণ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সাতবাড়িয়া গ্রামের ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খিলা গ্রামের সোহাগ মিয়া ও মতাতাজ উদ্দিনসহ স্থানীয় বেশকিছু লোক জানায়, রহিমানগর হতে খিলা গ্রামের পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত রাস্তা অংশ মেরামত কাজ অতি নিন্মমানের হওয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যে গর্ত সৃষ্টি ও ভাংচুর হয়ে রাস্তাটি যানচলাচলের জন্য অনোপোযোগী হয়ে পড়েছে। অত্যাধিক যানবাহন চলাচলের বিবেচনায় অনুর্ধ্ব ১০ ফুটের প্রশস্থের রাস্তাটির দুই পাশে আরো অন্তত দুই ফুট করে বাড়িয়ে রাস্তাটি নির্মান করা প্রয়োজন।

এ বিষযে কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলিম লিটন জানান, এ বেহাল দশার রাস্তাটি পুন:মেরামত করার জন্য আরটিআইসি-২ ফলোআপ প্রজেক্টে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২৫ আগস্ট ২০২২

Share