চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজকে অবশেষে সরকারিকরণহয়েছে এ সংবাদে স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ উপজেলাজুড়ে আনন্দ বিরাজ করছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারি বিধিমালা ২০১৮ এর আলোকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সারা দেশে ২৭১টি কলেজকে সরকারি করণে মধ্যে কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের নাম রয়েছে বলে এ তথ্য জানা গেছে।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর এক সভায় কচুয়া কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে পথ উন্মুক্ত হয়। ১৯৭০ সালের পহেলা জুলাই তৎকালিন সময়ে কচুয়া পৌর বাজারের প্রাণকেন্দ্রে এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭০-১৯৭১ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ও ১৯৮৫-১৯৮৬ শিক্ষা বর্ষ হতে ¯œাতক পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় এবং পরবর্তীতে সর্বশেষ গত ১২ আগস্ট সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ সরকারি কলেজে উন্নতি হয়।
সাবেক প্রয়াত সংসদ সদস্য অ্যাড. খন্দকার আব্দুল আউয়াল ২৩ শতক ভূমি দান করে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ কলেজে রূপান্তরের সুযোগ করেন এবং ১৯৭২ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি ‘কচুয়া বঙ্গবন্ধু কলেজ’ নাম করণ করা হয়।
কলেজে বর্তমানে অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মচারী রয়েছে- ৪৮জন এবং সর্বমোট ২ হাজার ৮শ ১১জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতি বছর এইচএসসি ও ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ সহ ভালো ফলাফল উপহার দিয়ে আসছে। বিশেষ করে বিগত কয়েক বছর ধরে ডিগ্রির ফলাফলে চট্টগ্রাম বিভাগে সাফল্যের সাথে এ কলেজটি উর্ত্তীন হয়ে আসছে।
কলেজের অধ্যক্ষ শাহ মো. জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭০ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত প্রাচীনতম এ কলেজকে সরকারি করণ (জাতীয়করন) করায় প্রথমে আল্লাহ তায়ালা’র প্রতি শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি। অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ও কলেজের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন স্যারসহ সংশ্লিষ্ট্র সবাইকে মহান শোকের এই মাসে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তিনি আরো বলেন, কচুয়ার উন্নয়নের রূপকার ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি মহোদয় কচুয়াকে উন্নয়নের মাধ্যমে শত বছরে এগিয়ে নিয়েছেন। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমাদের কলেজটি সরকারি করন করায় আমরা তারঁ প্রতি চির কৃতজ্ঞ।
কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. সোলাইমান মিয়া, সহকারী অধ্যাপক মুহা. শাহাদাত হোসেন, কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার সিকদার জানান, বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজকে সরকারি করণ করা কচুয়াবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রানের দাবী ছিল।
অবশেষে কলেজটিকে সরকারি করণ করায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। অভিভাবক মোঃ নুরুল্লাহ জানান, আমার সন্তানকে এ কলেজে পড়াাতে পেরে আমি আনন্দবোধ করছি। বিশেষ করে কলেজটি সরকারি করণ (জাতীয় করণ) হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।
কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ জানান, ‘এই কলেজের ছাত্র হিসেবে আমরা খুবই আনন্দিত। কলেজটি সরকারি করণ করায় কলেজ শাখা ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান শিশির, পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাজমুল আলম স্বপনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই।’
প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু